চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ভুল বিচারে ১৪ বছর সাজা, ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

ভুল আইনে করা বিচারে ১৪ বছর সাজা খাটছেন ভোলার আবদুল জলিল। দণ্ড বাতিল করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে ৫০ লাখ টাকা দিতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়েছে, বিচারের বদলে অবিচার করায় সেই দায় থেকে অব্যাহতি পেতে পারেন না ওই বিচারক।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবেন তারা। তবে তার মতে যার মিথ্যা অভিযোগে সাজা খাটতে হয়েছে জলিলকে তাকেই জরিমানা করা উচিত।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী আবদুল জলিল ভোলার চর ফ্যাশনের বাসিন্দা। ধর্ষনের মামলায় ২০০৪ সালে ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও জরিমানা করেন। জেল আপিল করলে জলিলের দণ্ড বাতিল করে মামলাটি পুনঃশুনানির নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

বিচারে আসামীকে আবারও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও জরিমানা করে বিচারিক আদালত। আবারও জেল আপিল। প্রধান বিচারপতি আপিল নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমানের বেঞ্চে পাঠান। আদালত নথি পর্যালোচনা করে দেখেন ঘটনার সময় জলিলের বয়স ছিল ১৫ কিংবা ১৬ বছর।

শিশু বিচেনায় তার বিচারের জন্য জুভিন্যাইল কোর্ট গঠন করা হলেও সেখানে চিলড্রেন এ্যাক্ট পালন করা হয়নি বরং তার বিচার হয়েছে নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনালে। ন্যায় বিচারের স্বার্থে আবদুল জলিলের দণ্ডাদেশ বাতিল এবং বিচারের নামে ১৪ বছর আটক রাখায় জীবনের যে ক্ষতি হয়েছে তার জন্য তাকে ৫০ লাখ টাকা দিতে বলেন হাইকোর্ট। রায় সম্পর্কে রাষ্ট্রপক্ষের অবস্থান জানান অ্যার্টনি জেনারেল।

রায়ে আদালত বলেছেন সাধারণ আইনে বিচার এবং আসামীকে নাবালক হিসেবে না দেখায় বিচারক বিচারের নামে খামখেয়ালি করেছেন। ওই বিচারক কোন ভাবে এই অবহেলা থেকে পার পেতে পারেন না। এ বিষয়ে মতামত দেন অ্যার্টনি জেনারেল।

নিরাপরাধ ব্যক্তিদের হয়রানি থেকে রক্ষা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়মিত প্রতিটি কারাগারে পরিদর্শন করার পরামর্শ দেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা।