চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ভুলে যাওয়া আফতাবকে মনে করালেন ও’কিফ

চট্টগ্রাম থেকে: জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ঢুকেই কোচ ড্যারেন লেম্যানের পিছু পিছু উইকেট দেখতে চলে গেলেন স্টিভ ও’কিফ। ফিরে যাওয়ার সময় খানিক কথোপকথনে জানা গেল, অজি স্পিনার বাংলাদেশে নতুন নন! ১৯ বছর বয়সেই সুযোগ হয়েছিল এদেশে আসার। তাতে ২০০৪ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের স্মৃতি ফিরে এল এই বাঁহাতি স্পিন তারকার মনে।

সেবারের যুব বিশ্বকাপে ফতুল্লায় প্লেট পর্বের ফাইনালে বাংলাদেশের কাছে ৮ রানে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। পার্থক্য গড়ে দিয়েছিলেন আফতাব আহমেদ। এই টাইগার ব্যাটসম্যানের গড়া ৭০ বলে ৫৭ রানের ইনিংসটা এখনও স্মরণ আছে ও’কিফের, ‘আমি এক উইকেট পেলেও ৬৫ রান করেছিলাম। তারপরও ম্যাচটা জিততে পারিনি। আফতাব খুব ভাল ব্যাটিং করেছিল। মনে আছে, খুব ভাল একটা ম্যাচ হয়েছিল।’

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

ও’কিফ মনে রেখেছেন, মনে রেখেছে বাংলাদেশও। তবে আফতাব নামের এক ঝরাপাতার গল্প হিসেবে। প্রবল সম্ভাবনা নিয়ে শুরু করে মারকুটে এই ব্যাটসম্যান হারিয়ে গেছেন অকালেই। ফর্মের সেরা অবস্থায় আইসিএল যাত্রা, ফিরে এসে আর মেলে ধরতে পারেননি নিজেকে। ১৬ টেস্ট, ৮৫ ওয়ানডে ও ১১টি টি-টুয়েন্টিতে শেষ হয়ে গেছে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার।

কার্ডিফে বাংলাদেশকে জিতিয়ে আফতাবের ভোঁ-দৌড়!

সেই আফতাব এখন ক্রিকেট কোচ। খেলা ছাড়ার পর চট্টগ্রামে নিজের গড়া একটি একাডেমিতে কোচিং করাচ্ছেন। সেখানে আফতাব খেলা ছাড়ার পর টেস্ট অভিষেক হয়েছে ও’কিফের। এখন আছেন ফর্মের তুঙ্গে। ভারত সফরে অস্ট্রেলিয়ানদের স্পিনে নেতৃত্বে দিয়েছেন। পেসার জস হ্যাজেলউডের ইনজুরিতে বদলি হিসেবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দলে জায়গা পেয়েছেন ৩২ বছর বয়সী এই স্পিনার।

অস্ট্রেলিয়ায় বসে মিরপুর টেস্টের তিন দিন দেখেছেন ও’কিফ। চতুর্থ দিনের মাথায় স্বাগতিকদের কাছে দলের হার দেখতে হয়নি তাকে। জানালেন, তখন বিমানে ছিলেন, ‘তখন আমি বাংলাদেশের পথে। তিনদিন বাড়িতে বসেই খেলা দেখেছি। ম্যাচটা দারুণ হয়েছে।’

ছবি: সাকিব উল ইসলাম