একুশের মহান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। রঙিন হয়ে উঠেছে শহীদ মিনার ও এর চারপাশের দেয়ালগুলো। শহীদদের স্মরণে দেয়ালে দেয়ালে লেখা হয়েছে একুশের পংক্তিমালা। সকাল থেকে শহীদ মিনারের আশপাশের রাস্তাগুলো আলপনার রঙে উজ্জ্বল করে তুলছেন চারুশিল্পীরা।
একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে জাতি একুশের মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে। রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ আজ রাতে একুশের প্রথম প্রহর ১২টা ০১ মিনিটে সর্বপ্রথম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর পরপরই শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা জনসাধারণের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আশপাশের এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারকে ঘিরে চারস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ৮ হাজারের বেশি সদস্য। এরই মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের শদদি মিনারের আশ-পাশ এলাকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন অংশে সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, আজিমপুর কবরস্থানসহ একুশের প্রভাত ফেরি প্রদক্ষিণের এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রণয়ন করা হয়েছে শহীদ মিনারে প্রবেশের রোডম্যাপ।
এছাড়া দিনটি উপলক্ষে প্রতি বছরের মতোই ঠিক করা হয়েছে আলাদা পথ নির্দেশিকা। পথ নির্দেশিকাটি আজ সোমবার রাত ৮টা থেকে কার্যকর হবে।
শহীদ বেদিতে যাতায়াতের জন্য নির্ধারিত রুট ম্যাপ অনুযায়ী হাইকোর্টের সামনের রাস্তা দিয়ে দোয়েল ক্রসিং, বাংলা একাডেমি, টিএসসি মোড়, নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ি মোড়, নিউমার্কেট ক্রসিং পার হয়ে আজিমপুর কবরস্থানের উত্তর দিকের গেট দিয়ে প্রবেশ করে পলাশী মোড় ও ফুলার রোড হয়ে সলিমুল্লাহ ও জগন্নাথ হলের সামনে দিয়ে শহীদ মিনারে যাওয়া যাবে।
টিএসসি মোড় থেকে জগন্নাথ হলের পূর্ব পাশ দিয়ে শহীদ মিনার ও মেডিকেল কলেজে যাওয়ার রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পনের পর বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠের রাস্তা দিয়ে দোয়েল চত্বর ও পেছনের রাস্তা দিয়ে চানখারপুল হয়ে বের হওয়া যাবে।