সব দলই ইংল্যান্ড পৌঁছেছে। অনুশীলনে ঘাম ঝরাচ্ছে। প্রস্তুতি ম্যাচে বড় বড় সংগ্রহ গড়ছে। কিন্তু কোথায় যেন একটু তাল-লয় কেটে যাচ্ছিল! সামান্য বাড়তি মনোযোগ দিলেই কারণটা পাওয়া যায়। সেটা ক্রিকেটের তারকাসম্ভারের বিজ্ঞাপনবোর্ড ভারতীয় দলের দৃশ্যমান উপস্থিতি না থাকার কারণেই! অবশেষে ভারতেরও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হয়ে গেল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটে-বলে দাপট দেখানো এক জয়ের মধ্য দিয়ে।
আইসিসি-বিসিসিআই টানাপড়েনের মধ্যে ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নেয়া, না নেয়ার ধোঁয়াশা ছিল অনেকটা সময়। সেটা কেটে গেছে দল ঘোষণার পরই। বিরাট কোহলির সেই দল ওভালে নেমেছিল রোববার। প্রস্তুতি ম্যাচটিতে কিউইদের বৃষ্টি আইনে ৪৫ রানে হারিয়ে শর্মা-কোহলিরা জানান দিলেন, তারাও টুর্নামেন্টে আছেন। শিরোপা ধরে রাখার মিশনে।
কেনিংটন ওভালে ভারতীয় পেসারদের তোপে শুরুতে ব্যাট করা নিউজিল্যান্ড ৩৮.৪ ওভারে ১৮৯ রানেই গুটিয়ে যায়। জবাবে ভারত ২৬ ওভারে ৩ উইকেটে ১২৯ রান তোলার পর বৃষ্টি বাধার পড়ে ম্যাচ। তখন পরিবর্তিত লক্ষ্য অনুসারে ২৬ ওভারে ৮৫ রান তোলা থাকলেই জিতত ভারত। তারা তুলেছে ৪৫ রান বেশি। বৃষ্টিতে ম্যাচ আর মাঠে না গড়ালে ডাকওয়ার্থ ও লুইস আইনই ভরসা হয় ফল নির্ধারণে। ম্যাচ শেষের ঘোষণার সময় ভারত ৪৫ রান বেশি তোলায় ওটাই জয়ের ব্যবধান হয়ে দাঁড়ায়।
এদিন লুক রঞ্চি ৬৬ ও জেমস নিশামের অপরাজিত ৪৬ ছাড়া বলার মত রান আসেনি আর কোন কিউইয়ের ব্যাটে। দুই অংকই ছুঁতে পেরেছেন আর মাত্র দুজন।
ভারতের হয়ে মোহাম্মদ শামি ও ভুবনেশ্বর কুমার ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। আরেক পেসার উমেশ যাদবের উইকেট একটি। ২টি গেছে রবীন্দ্র জাদেজার দখলে।
পরে আজিঙ্কা রাহানে ৭ ও দিনেশ কার্তিক শূন্য রানে ফিরলেও শিখর ধাওয়ানের ৪০-এ কক্ষপথেই থাকে ভারত। ম্যাচ শেষের সময় অধিনায়ক কোহলি ৫৫ বলে ৬ চারে ৫২ এবং ধোনি ২ চার ও ১ ছয়ে ২১ বলে ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ভারত তাদের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচটি খেলবে বাংলাদেশের বিপক্ষে। আগামী মঙ্গলবার ওভালে মাশরাফিদের বিপক্ষে নামবেন কোহলিরা। এটি বাংলাদেশেরও দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ। এই ওভালেই ১ জুন স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে নেমে পড়বে টাইগাররা।