আপনি একসঙ্গে কতগুলো ভর্তার কথা বলতে পারবেন? কোন ভর্তার স্বাদ কীরকম?
যে ভর্তাগুলো আপনার বাসায় তৈরি হয়, আপনি শুধু সেগুলোর কথাই বলতে পারবেন। কিন্তু আপনি কি জানেন, এছাড়া আরও অনেক ধরনের ভর্তা তৈরি হয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যেমন আলাদা আলাদা ভর্তা পরিবেশন করা হয়, ঠিক তেমনি এসব ভর্তার স্বাদও ভিন্ন। খাওয়ার পর মনে হবে, এবারই প্রথম এমন স্বাদের ভর্তা খেয়েছি! আবার কেউ কেউ ভর্তা তৈরি নিয়ে নীরিক্ষা করেন, যাতে প্রিয়জন কিংবা অতিথিদের সামনে নতুন কিছু পরিবেশন করতে পারেন। তেমনি নানা ভাবনার ভর্তার সমাবেশ ছিল আজ শনিবার চ্যানেল আইয়ের ছাদ বারান্দায়। এখানে ‘জাতীয় ভর্তা প্রতিযোগিতা ২০১৭’–এর বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এসিআই পিওর সরিষার তেল ও আনন্দ আলো যৌথভাবে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। প্রতিযোগিতার বাছাই পর্ব দেখেই ধন্য আয়োজকেরা। অংশগ্রহণকারীদের মাঝে দারুণ আগ্রহ। আর এসব ভর্তা খেয়ে মুগ্ধ বিচারকেরা।
ভর্তার তালিকায় কী কী ছিল? ভর্তাগুলো দেখে মনে হবে এখানে কী নেই! নানা পদের ভর্তা! এই যেমন—গরুর মাংসের ভর্তা, গরুর মগজের সাহেবী ভর্তা, লোনা ইলিশ শুটকি ভর্তা, তিশির ভর্তা, নারিকেল দই দিয়ে বেগুন ভর্তা, লাউ শাক–চ্যাপা শুটকির ভর্তা, বাদাম ভর্তা, মুরগীর ঝাল ভর্তা, তেলাকুচার পাতা ভর্তা, ইলিশ বেগুন পোড়া ভর্তা, কুমড়ার বিচি ভর্তা, লেবু দিয়ে টমেটো ভর্তা, সাদা সরিষা ভর্তাসহ ৬০ ধরনের ভর্তা। সব ভর্তায়ই ব্যবহার করা হয়েছে এসিআই পিওর সরিষার তেল।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া প্রত্যেক প্রতিযোগী নিজ নিজ ভর্তার আইটেম নিয়ে উপস্থিত হন। প্রতিযোগীদের সামনেই সাজিয়ে রাখা হয় এসব ভর্তার আইটেম। আর বিচারকরা একে একে স্বাদ নেন এসব ভর্তার। শুধু ভর্তা খাওয়া নয়, তারা ভর্তার স্বাদ বিবেচনা করে নম্বর দেন। পুরো আয়োজন সমন্বয় করেছেন ‘আনন্দ আলো’র সম্পাদক রেজানুর রহমান।
প্রতিযোগিতার বাছাই পর্বে অংশ নেন ৬০ জন। তাদের মধ্যে থেকে সেরা ১২ জনকে নিয়ে ২২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে গালা রাউন্ড। ইমপ্রেম টেলিফিল্মের বিনোদন পাক্ষিক ‘আনন্দ আলো’র ঈদ সংখ্যায় থাকবে এই ১২ জনের ভর্তা। এছাড়া আগামী বছর অমর একুশে বইমেলায় ‘ভর্তার রেসিপি’ নামে একটি বই প্রকাশ করা হবে। এই বইয়ে আজকের অংশগ্রহণকারীদের সবার ভর্তার রেসিপি থাকবে। প্রতিযোগিতায় শুধু নারী নয়, ছিলেন পুরুষ প্রতিযোগীও।
প্রতিযোগিতার বাছাই পর্বের বিচারকদের মধ্যে ছিলেন অভিনয়শিল্পী, রন্ধন তারকা ও ভোজন রসিক। তুষার খান বলেন, ‘প্রতিটি ভর্তার আইটেমই অনেক মজার আর ভাবনাটাও চমৎকার।’
শেষ দিকে প্রতিযোগীদের মাঝে উপস্থিত হন ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও ফারজানা ব্রাউনিয়া।
প্রতিযোগিতায় মূল বিচারক হিসাবে থাকছেন রন্ধনশিল্পী কেকা ফেরদৌসী, অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেন এবং শিশুসাহিত্যিক আমীরুল ইসলাম।