ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মন্দিরে হামলার আগে মাইকিং করে আহলে সুন্নত নামে একটি সংগঠন এলাকাবাসীকে উস্কানি দিয়েছে বলে তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। তাদের রিপোর্টে স্থানীয় প্রশাসনের নীরবতা, সরকারি দলের মধ্যে কোন্দল এবং বিএনপির মদদকে এরকম ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
৩০ অক্টোবর নাসিরনগরে মন্দির এবং হিন্দুপাড়ায় হামলার দু’দিন পর সরেজমিন পরিদর্শনে যায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। পরের দিনই সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়া হয়। কমিশনের সদস্য এবং তদন্ত দলের প্রধান এনামুল হক চৌধুরী বলছেন, এলাকায় মাইকিং করে এবং অন্য উপজেলা থেকে লোক নিয়ে এসে হামলা চালানো হয়েছে। আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে হামলা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে প্রশাসনের ব্যর্থতা আছে। সমাবেশের ২ দিন আগে থেকে তারা ক্যাম্পেইন ও মাইকিং করছিলো। মালোদের এখান থেকে সরাও- এই ধরনের ভাষাও তারা ব্যবহার করেছে। তারপরও প্রশাসন নিষ্ক্রিয় ছিলো। তারা ফেস সেভিংয়ের আওয়ামী লীগ-বিএনপির কিছু মদদ তারা নিয়েছে।
তদন্ত রিপোর্ট বলছে, শুধু ধর্মীয় সংগঠনের উস্কানি এবং প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার পাশাপাশি সরকারি দলের মধ্যে স্থানীয় কোন্দলও অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। এনামুল হক চৌধুরী আরো বলেন- মন্ত্রী এমপির গণ্ডগোলের সুযোগটা কাজে লাগিয়ে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক লোককে তাদের সঙ্গে জড়িত করেছে। মাননীয় মন্ত্রী গতকাল সাফাই গেয়েছেন কিন্তু যেহেতু তিনি লোকাল এমপি, সাথে সাথে তিনি কেন রাশ করেননি এলাকায়। উনি গেছেন চারদিন পরে। কেন? যারা মাইকিং করিয়েছিলো তাদেরও কিন্তু ধরা হয়নি এখনো।
এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায়ত জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ এবং আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীর নজরদারী বাড়ানোর সুপারিশ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।