অগ্রণী ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস দিয়ে জালিয়াতি করায় ৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ভুট্টার দানার মত ছোট ডিভাইস কানে লাগিয়ে ওই জালিয়াতি করার সময় তেজগাঁও কলেজ থেকে তিনজন এবং তীতুমীর কলেজ থেকে দুই জনকে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্রে হট্টগোলের খবর পাওয়া গেছে।
বহিষ্কারের তথ্য চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যসচিব মোশারফ হোসেন খান এবং এ পরীক্ষার সার্বিক দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।
মোশারফ হোসেন খান বলেন: বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তেজগাঁও কলেজের আলাদা দুটি কক্ষ থেকে একজন মেয়ে এবং এক জন ছেলেকে ডিভাইসসহ ধরা হয়।
তিনি বলেন, তারা মোবাইল দিয়ে ভেতর থেকে ছবি তুলে বাইরে পাঠায়। তাদের কানে ছিল ভুট্টার দানার মত ছোট ডিভাইস। বাইরে থেকে উত্তর পাঠানো হয় এবং ওই ডিভাইসের মাধ্যমে শুনে তারা খাতায় লেখে। আমাদের পরিদর্শকরা তাদের ধরে ফেলে।
তেজগাঁও কলেজ থেকেও এরকম ঘটনায় তিনজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের চাওয়া অনুযায়ী মাত্র ছয় হাজার পরীক্ষার্থীর জন্য আমরা তীতুমীর ও তেজগাঁও কলেজের মত বড় বড় দুইটি কেন্দ্র ঠিক করি যাতে কোন ধরণের সমস্যা না হয়। পাশাপাশি কলা অনুষদের অনেক শিক্ষক এবং আমাদের নিজস্ব অনেক পরিদর্শক থাকায় পরীক্ষা অনেক সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। যারা জালিয়াতির চেষ্টা করেছে তাদেরকেই আমরা ধরে ফেলতে সক্ষম হয়েছি।
জালিয়াতির জন্য যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের ভবিষ্যতে বিএসসি গৃহীত আর কোন পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না বলেও জানান বিএসির এ সদস্যসচিব।
শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্রে অগ্রণী ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) এর ২৭৬টি পদের বিপরীতে মোট ৬ হাজার ১২৮ জন প্রার্থী অংশ নেয়।