বোর্ডের সঙ্গে তাদের আর কোনও চুক্তি নেই। কাগজে-কলমে বেকার বলা হচ্ছে। কিন্তু সেই বেকারত্ব তাদের এতটুকু টলাতে পারছে না। বরং অজি ক্রিকেটারদের কথা শুনে মনে হচ্ছে বোর্ডকে রীতিমতো ‘কাঁচকলা’ দেখাচ্ছেন তারা।
স্ত্রী নিয়ে এখন অবকাশ যাপন করছেন ডেভিড ওয়ার্নার। এই অবসরে নিজের প্রথম আকাশ থেকে লাফটাও সেরে ফেলতে চান। বোর্ডকে ব্যঙ্গ করে তিনি বলছেন, ‘ওহ, এই সুযোগে আমার স্কাইডাইভটাও সেরে ফেলতে চাই। যদিও আমি বেকার, কিন্তু সবসময় আমার স্ত্রীর কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছি। আমার পরিবারই আমার কাছে সবকিছু।’
বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটারদের ঝামেলাটা প্রস্তাবিত নতুন চুক্তি ঘিরে। এতে ক্রিকেটারদের মোট আয় প্রায় ৩৫ শতাংশ বাড়বে, তবুও বোর্ডের আয়ের তুলনায় খেলোয়াড়দের বেতন-ভাতা নিতান্তই কম মনে করছে এসিএ। খেলোয়াড়দের বেশি আপত্তি রাজস্বের অংশ নিয়ে। ১৯৯৭ সাল থেকে চলে আসা বর্তমান চুক্তিতে রাজস্বের একটা অংশ পান ক্রিকেটাররা। তৃণমূলের ক্রিকেটে অনুদান আরও বাড়াতে এবার এতে একটু বদল আনতে চাইছে বোর্ড। তাদের প্রস্তাব, শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররাই বাড়তি রাজস্বের ভাগ পাবেন, ঘরোয়া ক্রিকেটাররা পাবেন একটা নির্দিষ্ট অঙ্ক।
কিন্তু স্মিথ-ওয়ার্নাররা ঘরোয়া লিগের ক্রিকেটারদের জন্যও লড়ে যাচ্ছেন। এ নিয়েই চলছে অচলাবস্থা। ৩০ জুনের মধ্যে নতুন চুক্তিতে সই না করায় ক্রিকেটারদের আর বেতন দেবে না বোর্ড। ক্রিকেটাররাও অবস্থা না বদলালে চুক্তি সই করবেন না জানিয়ে দিয়েছেন।
চাকরি হারিয়ে অজি ক্রিকেটাররা ফুরফুরে মেজাজে অবসর সময় কাটাচ্ছেন। ম্যাক্সওয়েল বলছেন, ‘যদিও আমরা এখন বেকার, ভালোই হল। আমি এখন স্লগসুইপ নিয়ে কাজ করতে চাই। বলা তো যায় না কখন আবার চুক্তি হয়ে যায়।’