টাইগার বোলাররা হতাশ, নিকোলাস ও স্যান্টনার জুটিকে সাজঘরে ফেরাতে পারছে না, বোলারদের চাপের এই সময় আক্রমণে ফিরলেন অন্যতম সেরা বোলার সাকিব আল হাসান। ২ ওভারে নিলেন ৩ উইকেট। ১৫ বলের মধ্যে মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে সাকিবের কারণে ৩ উইকেট হারিয়ে হঠাৎই বিপদে কিউইরা। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটে ২৫২ রান ছিল স্বাগতিকদের। কিন্তু সাকিবের আঘাতে চোখের পলকে ২৫৬ রানে ৭ উইকেট হারানো দল তারা! এভাবেই সাকিব নিউজিল্যান্ডকে করে দিলেন কোণঠাসা। অসাধারণ লড়াইয়ে ফেরার গল্প টাইগারদের। বিপর্যস্ত কিউইদের বুঝি স্বস্তি দিতে বৃষ্টি নেমে এলো ক্রাইস্টচার্চে, তাই আগেভাগে শেষ। ৭ উইকেটে ২৬০ রান নিউজিল্যান্ডের। এখনো বাংলাদেশ এগিয়ে ২৯ রানে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ২৮৯ রান। সারাদিনে খেলা হয়েছে ৭১ ওভার। রোববার তৃতীয় দিনে খেলা শুরু হবে ২৩ মিনিট আগে।
নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেছেন রস টেলর। এছাড়া টম ল্যাথাম ৬৮ রান করেন। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে তিনটি উইকেট নেন সাকিব আল হাসান, এছাড়া কামরুল হাসান রাব্বি দু’টি, তাসকিন ও মেহেদি মিরাজ একটি করে উইকেট নেন।
শেষ বিকেলে নিকোলাস ও স্যান্টনার টাইগারদের যথেষ্ট ভুগাচ্ছিলেন। ১৭৭ রানে টেলরের বিদায়ের পর হেনরি নিকোলাস ও মিচেল স্যান্টনার মিলে ৭৫ রানে জুটি গড়েন। তবে দলীয় ২৫২ রানের মাথায় অলরাউন্ডার স্যান্টনারকে ব্যক্তিগত ২৯ রানে এলবিডব্লিউ করে ফেরান সাকিব আল হাসান।
নিজের পরের ওভারেই বাজিমাত করেন বাঁহাতি তারকা সাকিব। প্রতিপক্ষের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান বিজে ওয়াটলিং (১) ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে (০) তিন বলের ব্যবধানে সরাসরি বোল্ড করেন তিনি। এরই সঙ্গে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ।
হেগলি ওভালে দ্বিতীয় দিনই মূলত নিজেদের প্রথম ইনিংস শুরু করে নিউজিল্যান্ড। কারণ আগের ওভার থাকলেও কিউইদের ব্যাট করতে নামাননি আম্পায়াররা। এদিনের শুরুতেই অবশ্য প্রতিপক্ষের শিবিরে জোড়া আঘাত আনেন রাব্বি। দলীয় ৪৫ রানে জিত রাভাল (১৬) ও দুই রান পরে কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে (২) ফেরান ডানহাতি এ বোলার। ওপেনার রাভালকে সরাসরি বোল্ড ও উইলিয়ামসকে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের ক্যাচে পরিণত করেন।
ব্যক্তিগত ২ রানেই একবার জীবন পেয়েছিলেন জিত রাভাল। ইনিংসের চতুর্থ ও নিজের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট পেতে পারতেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার অফ স্টাম্পের বাইরের বল জিত রাভালের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে চলে যায় দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ানো মাহমুদউল্লাহর কাছে। কিন্তু নিচু হওয়া বলটি তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন মাহমুদউল্লাহ। বল তার হাত ফসকে বেরিয়ে যায়।
বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে ১২ রানে আরেকবার জীবন দিলেন সাব্বির রহমান। শুরু থেকেই দারুণ বোলিং করা তাসকিনের বলে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাভাল। কিন্তু সহজ বলটি হাতে জমাতে পারেননি সাব্বির।
তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১০৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন টম লাথাম ও টেলর। কিন্তু দলীয় ১৫৩ রানের মাথায় প্রতিপক্ষের ডেরায় আঘাত হানেন তাসকিন। ব্যক্তিগত ৬৮ রানে সোহানের ক্যাচে বাঁহাতি ওপেনারকে ফেরান ডানহাতি তাসকিন।
বাংলাদেশের বিপক্ষে বরাবরই ভালো খেলা টেইলর এ ইনিংসেও দেখেশুনে ব্যাট চালাচ্ছিলেন। তবে সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যেতে থাকা অভিজ্ঞ এ ব্যাটসম্যানকে ব্যাক্তিগত ৭৭ রানে ফিরিয়ে দেন মেহেদি হাসান মিরাজ। স্পিন জাদুতে রাব্বির ক্যাচে পরিণত করে বিদায় করেন।