বাংলাদেশে এসেছেন ভারতের বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। সেই ভ্রমণের অংশ হিসেবেই কিছুক্ষণের জন্য এসেছিলেন চ্যানেল আইতে। সেখানে তার সঙ্গে কাটানোর জন্য সময় মিললো মাত্র ২ মিনিটের।
দুই মিনিটের আলাপচারিতায় উঠে আসলো কিছু ছোট ছোট প্রশ্নের জবাব।
ঢাকা কেমন লাগছে? এমন প্রশ্নের জবাবে ওই গুণী চলচ্চিত্রকার চ্যানেলআই অনলাইনকে বলেন, কেমন আর লাগবে। শেকড় থেকে গাছ উঠিয়ে রাখলে গাছের যেমন লাগে তেমনেই লাগছে।
কবে বাংলাদেশে এসেছেন? আর কী নিয়ে ব্যস্ততা, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৩ নভেম্বর বাংলাদেশে আসার পর রাজশাহীতেই ছিলাম। সেখানে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে ঋত্বিক ঘটক সম্মাননা পদক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিলো, সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম। পাশাপাশি ৪ তারিখে একটা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনও ছিলো।
আগামী কাজের কথা জানতে চাইতেই মজা করে বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত বলেন, শুটিং ছাড়াও তো সিনেমার জন্য অনেক অনেক কাজ থাকে। সেসব নিয়েই এবার বাংলাদেশে আসা। সেসবই চলছে। এর বাইরে কিন্তু বলতে গেলে অনুমতি নিতে হবে।
এভাবেই শেষ হয় ওই গুণী চলচ্চিত্রকারের ২ মিনিটের সাক্ষাৎকার। এবছর চলচ্চিত্র নির্মাণে অনন্য অবদান রাখায় ঋত্বিক ঘটক পদক পেয়েছেন ভারতের প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত ও বাংলাদেশের মোরশেদুল ইসলাম। চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনে অনন্য অবদান রাখায় পদক দেয়া হয়েছে ভারতের ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক প্রেমেন্দ্র মজুমদারকে। মঞ্চ নাটক ও চলচ্চিত্রে আলোকসম্পাতে অনন্য অবদান রাখায় এ পদক পান রাজশাহীর আলোকশিল্পী আবু তাহের। আর চলচ্চিত্র নিয়ে গবেষণায় অসমান্য অবদান রাখায় এ পদক পান বাংলাদেশের খ্যাতিমান চলচ্চিত্র ও নজরুল গবেষক অনুপম হায়াৎ।
১৯৪৪ সালে জন্ম বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর। সিনেমা বানানোর পাশাপাশি কবিতা লেখার প্রতিও ছিলো তার ব্যাপক ভালোবাসা। তার নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোতেও তাই কবিতার ছোঁয়া বিদ্যমান ছিল। প্রথম দিকে সত্যজিৎ রায় দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে বাস্তবতাবাদী চলচ্চিত্র নির্মাণ করলেও শেষের দিকে তিনি ভিন্ন ধারায় চলে যান।
সময়ের কাছে(১৯৬৮), দুরত্ব(১৯৭৮), নিম অন্নপূর্ণা(১৯৭৯), গৃহযুদ্ধ(১৯৮২), অন্ধ গলি(১৯৮৪), ফেরা(১৯৮৮), বাঘ বাহাদুর (১৯৮৯), তাহাদের কথা(১৯৯২), চরাচর(১৯৯৩), লাল দরজা(১৯৯৭), উত্তরা(২০০০), মন্দ মেয়ের উপাখ্যান(২০০২), স্বপ্নের দিন(২০০৪), কালপুরুষ(২০০৮), জানালা(২০০৯) ইত্যাদি তার রচিত অন্যতম সব সিনেমা।