যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে বাংলাদেশকে জ্বালানী ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ দেয়া হলে তা নাকচ করে দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
তিনি বলেন, আরো বেশি সংখ্যক মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে সরকার এই খাতে ভর্তুকি না কমিয়ে বরং বিনিয়োগ বাড়াবে।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ওই বৈঠকে আলোচনায় আসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে ভর্তুকি কমানোর ইস্যুটি। তখনই পরামর্শটি নাকচ করে দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে বাংলাদেশের যে অর্জন তা অনন্য।বাংলাদেশের ৬৮ শতাংশ মানুষ এখন বিদ্যুতের আওতায় আছে।
ইবোলা মোকাবেলায় বিশ্ব নেতাদের ভূমিকার একটা ভালো মূল্যায়নের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এবারের বিশ্বব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বসন্তকালীন বৈঠক।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম, আইএমএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিন ল্যাগার্ডসহ আফ্রিকার কয়েকটি দেশের সরকার প্রধানরা বৈঠকে অংশ নেন ।
বাংলাদেশের পক্ষে অংশ নেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
সেখানে ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলির সঙ্গেও দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক হয় অর্থমন্ত্রীর। বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন বাংলাদেশ সফর নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ১ বিলিয়ন ডলার ঋনের বিষয়ে সমস্যাগুলো তুলে ধরেন আবুল মাল আব্দুল মুহিত। মে মাসে অরুন জেটলিকে ঢাকায় আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়াও বিশ্বব্যাংক,আইএমএফ’র নিয়মিত অনুষ্ঠানের ফাঁকে নেদারল্যান্ডের রানী ম্যাক্সিমা জোরিগিতার সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। ফেব্রুয়ারিতে রানী ঢাকা সফর করবেন বলে জানিয়েছেন গভর্নর।