দেশ ছেড়ে পাকিস্তান পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়া দুই জঙ্গি দম্পতিকে আটক করেছে র্যাব। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক এ দুই দম্পতির কাছ থেকে র্যাব আরো বেশ কয়েকটি জঙ্গি গ্রুপের সক্রিয় থাকার তথ্য পেয়েছে।
আটকরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, ওই জঙ্গিরা নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের হত্যা এবং আত্মঘাতি হামলার পরিকল্পনা নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছে।
সম্প্রতি আটক জঙ্গি সদস্যদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জঙ্গিবাদবিরোধী ধারাবাহিক অভিযান চলছে।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর ফার্মগেট আনন্দ সিনেমা হলের বিপরীতে একটি রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে র্যাব-২ মারজিয়া আক্তার সুমি, তার স্বামী শরিফুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম আমিনুলকে আটক করে।
এরপর আটক ৩ জনের দেয়া তথ্যে পরে নারায়ণগঞ্জের ফত্ল্লা থেকে আমিনুলের স্ত্রী নাহিদ সুলতানাকে আটক করা হয়।
র্যাব জানিয়েছে, জেএমবির এ সক্রিয় সদস্যরা সংগঠনের স্বার্থেই একে অপরকে বিয়ে করে জঙ্গি কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিলেন।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, সক্রিয় আছে এমন কয়েকজনের ব্যাপারে তথ্য পাওয়া গেছে। যারা এদের অর্থসহায়তা ও প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন আত্নঘাতি পরিকল্পনাও প্রদান করেছে। সোহেল ওরফে আদনান ও আশরাফুল ওরফে সিদ্দিক এই দুটি নাম জেনেছি। মেহেদী হাসান রনি নামে একজনও আর্থিক সহায়তা দিত।
র্যাবের দাবি, চিহ্নিত ব্যক্তিদের হত্যা এবং আত্মঘাতি বোমা হামলার প্রস্তুতি নেয়া আরো বেশ কয়েকটি গ্রুপের তথ্য জেএমবি’র সক্রিয় এ সদস্যদের কাছে পাওয়া গেছে।
মুফতি মাহমুদ খান আরো বলেন, এদের বেশ কয়েকটি গ্রুপ এখনো সক্রিয় আছে এবং তারা ঢাকার আশেপাশেই আছে। তাদের সদস্য চার থেকে পাঁচজন। তারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। আত্নঘাতি হামলার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। দেশের বেশ কিছু এলাকা তারা আক্রমণের পরিকল্পনায় এনেছে।
র্যাব জানিয়েছে, জঙ্গি কর্মকাণ্ডের প্রশিক্ষক ও পরিকল্পনাকারীদের ব্যাপারেও সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে যাদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান চালিয়ে যাওয়া হবে।