স্বাভাবিকভাবে মানব শিশুর জন্মক্ষণে মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। পাড়া-প্রতিবেশিকে মিষ্টিমুখ করানো হয়। এটাই সাধারণ দৃশ্য। কিন্তু এর বাইরেও যে নবজাতককে নিয়ে রূঢ় আর অমানবিক চিত্র থাকতে পারে তা ক’জন জানে?
সেই রকম এক চিত্র দেখলো টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারের মানুষ। বিকৃত চেহারা নিয়ে জন্মানোর কারণে নবাগত শিশুটি তার মা-বাবাকে কাছে পায়নি।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে মাঈন উদ্দিন ও আজিরন দম্পতির কোলে আসে যমজ সন্তান। তাদের একটি ছেলে, অন্যটি মেয়ে। ছেলে শিশুটি সুস্থ হলেও মেয়ে শিশুটির চেহারা বিকৃত।
জন্মের পরই সুস্থ শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে অসুস্থ শিশুটিকে ফেরত পাঠিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। এর পর বিকৃত শিশুটি মা-বাবার আদর থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ে আছে ঘরের মেঝেতে। তাকে সেবা যত্ম করছেন প্রতিবেশীরা।
চিকিৎসক ও প্রতিবেশিদের ধারণা শিশুটিকে হয়তো বাঁচানো যাবে না। প্রতিবেশিরা শিশুটির মুখে দুধ তুলে দিলেও খেতে পারছে না।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ও সেবিকারা বলছেন, শিশুটিকে হয়তো বাঁচানো যাবে না। অপর শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য চিকিৎসা দিতে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
শিশুটির বাবা মাঈন উদ্দিনের বাড়ি দেলদুয়ার উপজেলার চন্ডী গ্রামে। বিকৃত শিশুটি জন্মের খবর পেয়ে চন্ডী গ্রামে শিশুটিকে দেখতে সেই বাড়িতে শতশত উৎসুক মানুষ ভীড় করছেন। তবে শিশুটির পাশে নেই মা-বাবা। সুস্থ শিশুটিকে বাঁচাতে ব্যস্ত এই বিকৃত শিশুর মা বাবা।