ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ৪৭তম বার্ষিক সভায় যোগ দিতে পাঁচ দিনের সফরে সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জুরিখে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে এক শিশুর মধুর অভিজ্ঞতা এবং নিজের মুগ্ধ অনুভূতি বর্ণনা করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক সাজেদা পারভিন সাজু রহমান।
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন:
“বিউটি ফুল শেখ হাসিনা, সত্যি বিউটি ফুল বঙ্গবন্ধু কন্যা…….
কথাটি বলছিলো চার বছরের খাদিজাতুল হিয়া, সুইজারল্যান্ড বসবাসরত হারুণ অর রশিদ ও পারভিন হারুনের একমাত্র কন্যা। জুরিখ এয়ারপোর্টে বাবা-মার হাত ধরে এসেছিলো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে। প্রধানমন্ত্রী হিয়ার ভালবাসায় সিক্ত হয়ে বাচ্চাটিকে হোটেলে নিয়ে আসতে বললেন। দেখা করে হিয়া গাড়িতে উঠে বলে বিউটিফুল শেখ হাসিনা। সত্যি বিউটিফুল শেখ হাসিনা…
এখন আসি আমাকে যে পরামর্শ দিয়েছেন সেই বিষয়ে। সকালে একই সময় সুইজারল্যান্ড জুরিখ বিমানবন্দরে এসে নামে প্রধানমন্ত্রীকে বহন করা ইতিহাদ ও কাতার এয়ারওয়েজ – যেটিতে আমরা এসেছি। দুপুরে আমরা যাই সিলভার্তো পার্ক হোটেলে, যেটিতে উঠেছেন প্রধানমন্ত্রী। আমি সালাম দিয়ে বললাম আপা কেমন আছেন? উনি আমার গেটআপ দেখে প্রশংসা করে স্বভাব সুলভভাবেই বললেন বুট পরে তো ভালোই লাগছে। (এ সময় আমার সাথে ছিলো আমার দীর্ঘদিনের সহকর্মী, এখন আর টিভিতে কমর্রত রুহুল আমিন তুহিন)। শীতের ভালো কোট আছে তো.. আমি বললাম আছে।
বিদায় নিয়ে আমি চলে আসার সময় আবার ডাক দিলেন এবং বললেন, তোমার রিপোর্টের পাশাপাশি আর্টিকেল লিখে রাখবে। আমি বললাম জ্বি আপা। সত্যি এভাবে কখনো ভাবিনি। আলাদা করে লিখে রাখা। উনি এতো কিছু নিয়ে ভাবেন। উনাকে যতই দেখি ততই অবাক হই, মুগ্ধও হই। বলতে দ্বিধা নেই, আমার পত্রিকায় কাজ করার কোনো অভিজ্ঞতা নেই। এটা আমার জন্য নতুন একটা দিগন্ত….
অসংখ্য ঘটনা আছে সবই শেয়ার করবো তবে অন্য কোনোদিন….. হিয়ার মতো আমারও বলতে ইচ্ছে করছে বিউটিফুল শেখ হাসিনা…..
হিয়ার ছবিটা আমি দিলাম না কারণ আমার মেয়েকে কথা দিয়ে এসেছি কোন বাচ্চার ছবি দেবো না। আর আমার এই লেখার সব কৃত্বিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।”