জার্মানিতে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে তোলা হচ্ছে বাণিজ্যিক বায়োগ্যাস কারখানা। খাদ্যশস্য ও বর্জ্যকে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে ওই কারখানা থেকে গ্যাস পাঠানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষেত্রে। পাশাপাশি উৎপাদন হচ্ছে জৈব জ্বালানি ও উৎকৃষ্টমানের সার।
সাধারণ বায়োগ্যাস প্লান্টের মতো নয়। এটি রীতিমত এক বাণিজ্যিক উদ্যোগ। জার্মানির জেলসন শহরে ব্যক্তি উদ্যোগে এমন বায়োগ্যাস কারখানা গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি। এর একটি চালাচ্ছে তরুণ দুই বন্ধু পিপা ও পাপে।
তারা বলেন, এখানে তিনটি পণ্যের উৎপাদন হচ্ছে বিদ্যুৎ,গ্যাস ও জৈব সার। বিদ্যুৎ আমরা সরবরাহ করছি এদেশের সরকারের কেন্দ্রীয় গ্রিডে। গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে তিন কিলোমিটার এলাকার বাসাবাড়িতে। আর উৎপাদনের যে উচ্ছিষ্ট, তা জৈব সার আকারে যাচ্ছে কৃষকের ক্ষেতে।
গ্যাস উৎপাদনের জন্য জৈব কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে গমের মতো খাদ্যশস্য বাসিল। যা সরবরাহ করে এই কারখানায় চুক্তিবদ্ধ ৬০ জন কৃষক। উদ্যোক্তারা বলছেন, অল্প পুঁজি নিয়ে শুরু করলেও পরে ব্যাংক ঋণ নিয়ে একে একে সম্পন্ন করেছেন এই কারখানার কাজ।
পিপা ও পাপে বলেন, ৩ হেক্টর জমির ওপর প্ল্যান্ট নির্মাণে খরচ হয়েছে ২০ লাখ ইউরো। ৪০ লাখ ইউরো খরচ হয়েছে পুরোটা শেষ করতে। গ্যাস পাঠানোর জন্য লাইন তৈরিতে আলাদা করে খরচ হয়েছে ৯ লাখ ইউরো।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে পারমানবিক শক্তি ব্যবহার থেকে ফিরে আসতেই জৈব শক্তির নির্ভরতা বাড়ছে। এই শিল্পগুলোতে নতুন বিনিয়োগকারীরা যেমন আগ্রহী হচ্ছে, আগ্রহ দেখাচ্ছেন সেদেশের সরকারও।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: