গাজীপুরের শ্রীপুরে বাবা-মেয়ের ট্রেনের নীচে আত্মহত্যার ঘটনায় গোসিঙ্গা ইউনিয়নের মেম্বার আবুল হোসেনের কাছ থেকে কোন সুনিদিষ্ট তথ্য পায়নি পুলিশ। তবে আসামী ফারুক এলাকার বখাটে ছিল বলে আবুল হোসেন পুলিশকে নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা রেলওয়ে পুলিশের ওসি ইয়াসিন ফারুক মজুমদার চ্যানেল আই অনলাইনকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ইয়াসিন ফারুক মজুমদার বলেন, আবুল হোসেনকে দুই দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। প্রথম দফায় দুই দিন ও পরে তিনদিন। শনিবার দ্বিতীয় দফার শেষদিন চলছে। কাল তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
‘তার কাছ থেকে এখনো সুনিদিষ্ট কোন তথ্য জানা যায়নি। তবে আসামী ফারুক সম্পর্কে আবুল হোসেন পুলিশকে জানিয়েছেন এলাকার বখাটে ছেলে ছিল সে।’
মামলার বাদী হালিমা বেগম তার মেয়ের ওপর নির্যাতন ও গরু চুরির ব্যাপারে মেম্বার আবুল হোসেনের কাছে বেশ কয়েকবার নালিশ দিয়েও কোনো বিচার পায়নি বলে চ্যানেল আই অনলাইনকে জানিয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা রেলওয়ে পুলিশের ওসি ইয়াসিন ফারুক বলেন, রিমান্ডে আবুল হোসেন এসব কথা স্বীকার করেনি। তিনি বলেছেন, হালিমা তার কাছে কোনো নালিশ নিয়ে যাননি।
এখন পর্যন্ত আয়েশার ময়না তদন্তের রিপোর্ট রেলওয়ে পুলিশের হাতে এসে পৌঁছায়নি বলে জানান ঢাকা রেলওয়ে পুলিশের ওসি।
এর আগে বাবা-মেয়ের ট্রেনের নীচে আত্মহত্যার মামলার আসামি মনে করে যে শহীদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছিল, একদিন পর পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে। কেননা হালিমা বেগম বলেছেন, এই শহীদ মামলার আসামি নয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের একটি সূত্র চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করেছে যে, শিশু আয়েশার ট্রেনে কাটা যাওয়ার পর শরীরে অসংখ্য ক্ষতের চিহ্ন থাকায় চিকিৎসকরা তার দেহে ধর্ষণের কোনো আলামত পায়নি।
এর আগে মেয়েসহ ট্রেনের নীচে আত্মাহুতি দেওয়া হযরত আলী সরকারের স্ত্রী হালিমা বেগমের আজীবন ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেন গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ।
গত ২৯ এপ্রিল সকালে শ্রীপুর রেলস্টেশন থেকে কিছুটা দূরে রেললাইন থেকে বাবা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পরিবারের অভিযোগ, ফারুক নামের স্থানীয় এক বখাটে হযরত আলীর মেয়ে প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী শিশু আয়েশাকে একাধিকবার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হোসেনের কাছে ঘটনার বিচার চাইতে গিয়ে পাননি। তিনি তা ধামাচাপা দেন। পরে থানায় অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি।