আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জনকল্যাণ ও সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়ানোর যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তাকে ইতিবাচক বলেছেন অর্থনীতিবিদ ও অর্থনীতিবিষয়ক গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা।
প্রস্তাবিত বাজেটের সার্বিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তারা বলেছেন, এ উদ্যোগ সফল করতে সুশাসনের পাশাপাশি শক্তিশালী তদারকি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি।
বৃহষ্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে গণমাধ্যম বিষয়ক প্রতিষ্ঠান সমষ্টি আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সেমিনারে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ৫০ জন অংশ নেন।
সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. হেলাল উদ্দিন।প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন দৈনিক সমকালের সম্পাদকীয় বিভাগের প্রধান অজয় দাশগুপ্ত, ডেভেলপমেন্ট সিনার্জি ইনস্টিটিউট এর নির্বাহী পরিচালক মনোয়ার মোস্তফা ও দৈনিক যুগান্তরের সহকারী সম্পাদক শুচি সৈয়দ। সেমিনার সঞ্চালনা করেন একাত্তর টিভির বার্তা পরিচালক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা।
অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন বলেন: উন্নয়নশীল দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।বিগত বছরগুলোর তুলনায় জনকল্যাণ ও সামাজিক সুরক্ষামূলক বাজেট বেড়েছে, তবে চ্যালেঞ্জ হলো যথাযথ তদারকি ও বিনিয়োগের গুণগত মান নিশ্চিত করা।
শুচি সৈয়দ বলেন: রাজস্ব আদায় করতে গিয়ে জনকল্যাণ ও সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।এক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কার্যকর সমন্বয় জরুরি।
মনোয়ার মোস্তফা বলেন: সরকার গরিব মানুষের তালিকা প্রণয়নের যে উদ্যোগ নিয়েছে তা ইতিবাচক।এর ফলে প্রকৃত গরিবদের কাছে বরাদ্দ ও সেবা পৌঁছানো সহজ হবে, অভীষ্ট জনগোষ্ঠী এর সুফল পাবে।ইতোমধ্যে একটি জেলায় এরকম পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
অজয় দাশ গুপ্ত সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার দিকে আরও বেশি নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ১৯৯৭ সালের আগে সামাজিক নিরাপত্তা ইস্যুতে কেউ নজর দেয়নি।তখনকার সরকার প্রথম এ ধরনের কার্যক্রমের ওপর গুরুত্ব দেয়।এ ধরনের বরাদ্দে অনিয়ম-দুর্নীতি কমানোর জন্য যথাযথ তদারকি প্রয়োজন।এছাড়া সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমে সমাজের বিত্তবান শ্রেণির অংশগ্রহণও জরুরি বলে তিনি মত দেন।
সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের মতো জায়গাগুলোতে রাষ্ট্র এখন শতভাগ দায়িত্ব নেওয়ার মতো সক্ষমতা অর্জন করেছে।এ বিষয়গুলো শুধুমাত্র স্বীকৃতির মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে কাজে রূপান্তর করা দরকার।
তিনি বলেন, আমরা যেভাবে এগুচ্ছি তাতে আমরা আরো ভালো কিছুর চিন্তা করতে পারি।