চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে ভারতে ত্রিদেশীয় সিরিজ?

বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজনের কথা ভাবছে ভারত। আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে পরিকল্পনায় থাকা ওই সিরিজের জন্য বছরের শেষ নাগাদ নিজেদের সাউথ আফ্রিকা সফর কয়েকদিন পিছিয়ে দিতে, এমনকি সংক্ষিপ্ত করে আনার কথাও নাকি ভাবছে বিসিসিআই। দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বোর্ডের এক কর্মকর্তার বরাতে এমন খবর দিচ্ছে।

আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আর সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে সাউথ আফ্রিকায় যাবে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে। সফরে দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টুয়েন্টি খেলবে টাইগাররা। সেজন্য গত বৃহস্পতিবার ২৯ সদস্যের প্রাথমিক দলও ঘোষণা করেছে বিসিবি। কিন্তু আফ্রিকা সফরের পর ভালো একটি বিরতি আছে টাইগারদের।

আবার বছরের শেষে ভারতও চার টেস্ট, সাত ওয়ানডে ও তিন টি-টুয়েন্টির সিরিজ খেলতে সাউথ আফ্রিকা যাবে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সফরের কথা থাকলেও সেটি এখন পিছিয়ে দেয়ার কথা ভাবছে বিসিসিআই। ২৬ ডিসেম্বর বক্সিং-ডে টেস্ট দিয়েই সিরিজ শুরুর নতুন পরিকল্পনা দেশটির বোর্ডের।

কেননা তার আগে নভেম্বরের শেষ নাগাদ ঘরের মাঠে টাইগার ও কিউইদের নিয়ে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজনে আগ্রহী বিসিসিআই। ভাবনা-চিন্তা অনেকদূর আগালেও সিরিজ আয়োজনের বিষয়টি এখনো কেবল পরিকল্পনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ বলেও জানাচ্ছে গণমাধ্যমটি।

তাদের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ওই সিরিজের জন্যই প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট কয়েকদিন পিছিয়ে দিতে চাইছে বিসিসিআই। আগের চার টেস্ট ও সাত ওয়ানডের ভাবনা থেকেও সরে আসতে চাইছে তারা। এখন তিন টেস্ট, পাঁচ ওয়ানডে ও একটি টি-টুয়েন্টি খেলতে চায় ভারত।

ভারতের এই পরিকল্পনা অবশ্য আফ্রিকানদের বিপদে ফেলতে পারে। বিসিসিআই সফর কয়েকদিন পিছিয়ে দিলে তাদের না বলার সুযোগ হয়তো কম থাকবে। তাতে আগামী গ্রীষ্মে ঘরোয়া টি-টুয়েন্টি লিগের সূচির সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যাবে প্রোটিয়াদের। আরো একটি সমস্যা থাকবে। ভারত ফেরার পরপরই অস্ট্রেলিয়া পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে সাউথ আফ্রিকায় যাবে। আগের সিরিজ পেছালে প্রভাব পরবে পরেরটিতেও।

ভারত আবার চাইলেও ত্রিদেশীয় সিরিজের সূচি এগিয়ে আনতে পারবে না। অক্টোবরে ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাত ম্যাচের ওয়ানডের সূচি ঠিক করা তাদের। সাউথ আফ্রিকার চিন্তার করণ আছে অন্য একটি জায়গাতেও। তারা যেখানে চার টেস্ট, সাত ওয়ানডে ও তিন টি-টুয়েন্টি চাইছে; ভারত সেখানে দুটি করে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি কম খেলতে চাইছে। এখন দেখার দুদেশের বোর্ড কি করে সমাধানে আসে।

তারা যে সমাধানেই আসুক, বিসিসিআই যেহেতু ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজনে আগ্রহী, আর সেখানে বাংলাদেশের নাম আলোচনায় এসেছে, সেটি বাস্তব হলে টাইগার ক্রিকেটের জন্য ভালোই। ২০০৮ সালের পর প্রায় ৯ বছর পেরিয়ে আবারো সাউথ আফ্রিকায় পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে যাবে বাংলাদেশ। ফিরে স্বাগতিক ভারত ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে রঙিন পোশাকের লড়াই হলে মন্দ হবে না।

এখন সিরিজটি আলোর মুখ দেখলেই হয়। গত এক বছরে এমন আরো কয়েকটি সিরিজের কথা আলোচনায় এসে আলোর মুখ দেখার আগেই যে মিলিয়ে গেছে অতীতের গর্ভে।