বাংলাদেশ থেকে আকাশপথে ইউরোপের যেকোন দেশে সরাসরি পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে গেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করায় ১ জুন থেকে কার্যকর হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তালিকায় সমুদ্রপথের কথা বলা হলেও ওই পথে তৃতীয় দেশ হয়ে ইউরোপে পণ্য যায় বলে এ বিষয়ে কোন নির্দেশনা পায়নি।
সম্প্রতি তার সদস্যদের জন্য একটি বার্তা পাঠিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন গ্রুপ বা আইএজি কার্গো। এতে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১ জুন থেকে বাংলাদেশ এবং কুয়েতকে হাই রিস্ক বা রেড কান্ট্রির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। এজন্য বাংলাদেশ থেকে সাগর বা আকাশপথে জাহাজিকরণের সময় এক্সপ্লোসিভ ডিটেকটিভ সিস্টেম ইডিএস স্ক্যানিং ছাড়া কোন কার্গো না নিতে নির্দেশ দিয়েছে আইএজি।
বার্তায় আরো বলা হয়, বাংলাদেশে যদি ইডিএস না থাকে তাহলে ইউরোপের কোন দেশে বাংলাদেশের কার্গো ঢোকার আগে আইএজি তৃতীয় কোন দেশে ইডিএস স্ক্যানিং করবে। এজন্য প্রতি কেজি পণ্যের জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা শুল্ক হবে ৯ টাকা। আইএজি কার্গোর বার্তার বরাত দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গত ২৩ মে সিভিল এভিয়েশন অথরিটিকে চিঠি দেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
৩০ মে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে জরুরি বৈঠক করে বিমান এবং সিভিল এভিয়েশন অথরিটি। বিষয়টি নিয়ে সরকারের একজন উপদেষ্টা বাংলাদেশে ইইরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেন দরবার করছেন।
তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্তকে দুঃখজনক বলেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী। কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আকাশপথে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ মেট্রিক টন পণ্য পাঠায় বাংলাদেশ। এর অর্ধেকই যায় ইউরোপে। সমুদ্রপথে যায় এর অনেক বেশি, মোট রপ্তানি পণ্যের প্রায় ৯০ ভাগ। তবে, সেক্ষেত্রে এ মুহুর্তে আশঙ্কা নেই কারণ সমুদ্রপথে বাংলাদেশের সব পণ্যই ইউরোপে যায় তৃতীয় দেশ হয়ে। তারপরও রপ্তানি বাণিজ্যে খরচ বাড়ার আশঙ্কা করছে সরকার।
গত বছর নিরাপত্তার কথা বলে বাংলাদেশ থেকে আকাশপথে সরাসরি কার্গো পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাজ্য। দেশে-বিদেশে নানামুখী ব্যবস্থা নেয়া হলেও ওই নিষেধাজ্ঞা এখনও প্রত্যাহার হয়নি।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: