মিয়ানমারের রাখাইনে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কক্সবাজারের অস্থায়ী ক্যাম্পে জায়গা দেয়া এবং ত্রাণ বিতরণ সহ তাদের পক্ষ নেয়ায় অনেকেই খুশিতে তার ছেলের নাম রেখেছেন শেখ মুজিব, আবার অনেকেই মেয়ের নামে রেখেছেন শেখ হাসিনা। আর শিশুদের মুখে মুখেও এখন শোনা যাচ্ছে ‘বাংলাদেশের রাজা’র প্রশংসা।
রোহিঙ্গাদের টেলিযোগাযোগ সুবিধার খোঁজ খবর নিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম শরনার্থী শিবির পরিদর্শন করে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন: ‘‘টেলিটকের টেলিযোগাযোগ সুবিধা মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গা-ক্যাম্পের মানুষগুলো ঠিকমত পাচ্ছে কি না, তা সরেজমিনে দেখতে বিভিন্ন ক্যাম্পে টেলিটকের বুথগুলো পরিদর্শনে গিয়ে দেখলাম, স্বল্প রেট-এ কথা বলার সুবিধা করে দেবার কথা থাকলেও টেলিটকের সেবা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোহিঙ্গারা বিনা মূল্যেই পাচ্ছেন।
যে দেশের প্রধানমন্ত্রী মানবতার পাশে দাঁড়ান; সেই দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানও লাভের কথা ভাবে না, এটাই স্বাভাবিক। সেই সাথে ক্যাম্পের পাশে জড়ো হয়ে থাকা শিশুদের জিজ্ঞেস করলাম , আমাদের প্রধানমন্ত্রী কেমন আদর করলো তোমাদের? কিছুক্ষণ ওরা মুখ চাওয়া-চাওয়ি করলো। অর্থাৎ ওরা ভাল করে বাংলা বুঝেনি। পরবর্তীতে স্থানীয় একজন (শিশুদের নিজের ভাষায়) বলে উঠলো, তোমাদের কাছে বাংলাদেশের রাজার কথা জিজ্ঞেস করছেন।
তখন শিশুরা বললো, অনেক আদর করেছে, অনেক অনেক ভালো রাজা। এগুলো কোন শিখানো কথা নয়, তাদের অন্তর থেকে উচ্চারিত ভালোবাসার কথা। যে কথা শেখাতে হয় না।
এবার ছোট্ট রোহিঙ্গা শিশুদের মুখে হাসি দেখা গেল। ওরা আবারও বললো, রাজা শেখ হাসিনা, ভাল রাজা।’’