চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বাংলাদেশী সবুজ পাসপোর্টের সোনালী দিন ফেরাতে করণীয়

মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের বিজয়ের ৪৫ বছর পূর্ণ হয়ে ৪৬ বছরে পা রাখতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে উন্নয়ন ও গণমাধ্যমকর্মী মোহাম্মদ গোলাম নবী  আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্জন-ব্যর্থতা ও করণীয় বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে লিখছেন চ্যানেল আই অনলাইন পাঠকদের জন্য। পর্ব-১০

ঘটনা-১: ১৯৭৪ সাল। ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশন অফিসার সবুজ রংয়ের হার্ড কাভারের পাসপোর্টটি হাতে নিয়ে সামনে দাঁড়ানো তরুণের দিকে জিজ্ঞাসু চোখে তাকালো। তরুণটি তার প্রায় সমবয়সী সুশ্রী তরুণীর চোখের ভাষা পড়তে পারল না। বলল- ট্যুরিস্ট। বেড়াতে এসেছি। ইমিগ্রেশন অফিসার ততক্ষণে তার পাশের সহকর্মীকে তরুণটির পাসপোর্টটি দিয়ে নিজেদের ভাষায় কি যেন বলল। তাদের কথা শুনে আরো দুয়েকজন এসে হাতে নিয়ে পাসপোর্টটি দেখতে লাগল। তরুণটি তখন ভাবছে কিছু একটা বড় ধরনের গোলমাল হয়েছে। তার বোধহয় আর ফিনল্যান্ড দেখা হবে না। তার যখন মন খারাপ হতে শুরু করেছে। তখনই তাকে প্রশ্ন করা হলো- বাংলাদেশটা কোথায়? তারপর অনেক গল্প। মুক্তিযুদ্ধের গল্প। দেশ স্বাধীন হওয়ার গল্প। ইমিগ্রেশন অফিসাররা তাকে অনেক খাতির যত্ন করল। তাদের দেশে বেড়াতে আসার জন্য ধন্যবাদ জানালো। তার নিরাপদ ও সুন্দর ভ্রমণ কামনা করল।

ঘটনা- ২: ১৯৮১ সাল। প্রথমবারের বিদেশে আসা তরুণী অনেকটা ভয়ে ভয়ে তার পাসপোর্টটি ইমিগ্রেশন অফিসারের দিকে এগিয়ে দিলেন। সঙ্গে তার ইউনিভার্সিটির কাগজপত্র। তরুণীটি ততক্ষণে নিজেকে প্রস্তুত করে নিয়েছে প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য। দেশের বাইরে এমনকি ভারতেও কখনো যায়নি। একবারে সোজা অন্য মহাদেশে। কানাডা। ইমিগ্রেশন অফিসার কাগজপত্র দেখে কয়েকটা টুকটাক প্রশ্ন করে তাকে ভিসা দিয়ে দিল। বলে দিলো ইউনিভার্সিটিতে যাওয়ার পর তাকে ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে হবে এবং সেটা করার জন্য ইউনিভার্সিটি তাকে প্রয়োজনীয় সাহায্য করবে।

ঘটনা- ৩: সময়টা ১৯৭৩ সালের শেষ দিকে। সিঙ্গাপুর এয়ারপোর্টে একজন বাংলাদেশী ব্যবসায়ী নামলেন। ইমিগ্রেশন অফিসার তার আসার উদ্দেশ্য ও কতোদিন থাকবেন জানতে চাইল। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পূরণ করে ভিসা নিয়ে তিনি সিঙ্গাপুরে ঢুকে পড়লেন।

স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিকরা আশির দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত ইউরোপ-আমেরিকাসহ পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশে পোর্ট এন্ট্রি ভিসা নিয়ে যাতায়াত করতে পারত। তার মানে শেখ মুজিব ও জিয়াউর রহমানের পুরো আমলটা এবং এরশাদের আমলের শুরুর দিকটায় সবুজ পাসপোর্টের মর্যাদা আজকের সবুজ পাসপোর্টের মর্যাদার চেয়ে ভিন্ন ছিল। কতোটা ভিন্ন ছিল সেটা তো উপরের তিনটি উদাহরণে জানা গেল। এখন কতোটা খারাপ হয়েছে এবার তার দুয়েকটি উদাহরণ দেয়া যাক।

ঘটনা- ৪: ১৯৯৮ সাল। ৬৫ বছর বয়সী কামরান চৌধুরী (ছদ্মনাম) তার ছেলের সাথে দেখা করার জন্য আমেরিকার ভিসার আবেদন করলেন। পাকিস্তান আমল থেকে এশিয়া ও ইউরোপ ঘুরে বেড়ানো মানুষ। ২৬টি দেশে গিয়েছেন। কানাডাতেও গিয়েছেন। কিন্তু আমেরিকা যাওয়া হয়নি কখনো। তাকে ভিসা দেওয়া হলো না। বুড়ো বয়সে ভদ্রলোক এতোটাই দুঃখ পেয়েছিলেন যে, তিনি আর আমেরিকা যাওয়ার ভিসার আবেদনই করেননি।

ঘটনা- ৫: ২০১৫ সাল। বাংলাদেশী মেয়ে রূপা ইসলাম (ছদ্মনাম) লেখাপড়া করে অস্ট্রেলিয়ার দি ইউনিভার্সিটি অফ সিডনীতে। মামাদের সঙ্গে দেখা করতে কানাডা যাওয়ার সময় তাকে ৮০০ ডলার বেশি দিয়ে টিকেট করতে হলো। টিকেট করতে গিয়ে দেখল যে, আমেরিকা হয়ে কানাডাতে গেলে তার টিকেটে খরচ হবে ১১০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার। কিন্তু সেক্ষেত্রে তার আমেরিকার ভিসা লাগবে। এদিকে আমেরিকার ভিসা করতে হলে তাকে ২২০ ডলার ফি দিতে হবে এবং অপেক্ষা করতে হবে ৩ মাস। তারপরও ভিসা পাবে কি পাবে না সেটা ঠিক নেই। তাছাড়া সেই সময়ও তার নেই। অগত্যা তাকে দক্ষিণ কোরিয়া হয়ে কানাডা যেতে হলো ১৯০০ ডলারের টিকেট করে। সময়ও লাগলো বেশি।

স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য এখন ভিসা না পাওয়া নিত্যদিনের ঘটনা। প্রতিদিন হাজার হাজার বাংলাদেশীর ভিসা আবেদন নাকচ করছে এমনকি ভারত, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরসহ পৃথিবীর অনেক দেশ। একসময় যে দেশগুলো পোর্ট এন্ট্রি ভিসা দিতো সেই দেশগুলো এখন সবুজ পাসপোর্ট দেখলে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। সন্দেহের চোখে দেখে; কিন্তু কেন?

সবুজ পাসপোর্টের দুর্নাম অন্য কেউ নয় স্বয়ং বাংলাদেশীরাই করেছে। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে বিদেশে যাওয়া কিংবা বিদেশে গিয়ে পালিয়ে থাকাসহ কেউ কেউ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে জড়িত হওয়ায় বাংলাদেশীদের ব্যাপারে বেশিরভাগ দেশের ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের এক ধরনের নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হতে শুরু করে আশির দশকের মধ্যভাগ থেকে। এই অবস্থা যতো দিন যাচ্ছে আরো খারাপ হচ্ছে। তার উপর বাংলাদেশী অ্যাম্বাসিগুলোর কর্মকর্তাদের গাফিলতি এবং বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের ইমেজ বিদেশে আরো খারাপ করেছে। শুনলে অবাক হতে হয়, বাংলাদেশী দূতাবাসগুলোর কর্মকর্তাদের কেউ কেউ ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্টের সুবিধা নিয়ে অপকর্ম করে বেড়ান। এমনকি তারা সস্তায় কেনা মদ পর্যন্ত বাইরে বেশি দামে বিক্রি করেন। এদিকে বিভিন্ন ধরনের কালচারাল টিম, খেলাধূলা টিমের সঙ্গে সদস্য হিসেবে কিংবা কর্মকর্তা হিসেবে গিয়ে অনেকে আর দেশে ফিরেন না। রাজনৈতিকভাবে আশ্রয় চাওয়ার ঘটনা এরশাদের আমলে শুরু হয়, যা পরবর্তীতে প্রতিবার বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ক্ষমতার পালাবদলের পর চলতে থাকে। কিন্তু এতো বেশি মিথ্যা ঘোষণাকারী ধরা পড়ে যে, এখন আর বিদেশীরা সত্যিকারের বিপদে পড়া বাংলাদেশীদের আশ্রয় দিতে চায় না। তার উপর প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে বসবাসরত দেশের আইনকানুন না মেনে চলা ও মারামারি করা ইত্যাদি ঘটনার সংখ্যা বাড়ার ফলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অনেক দেশে সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়েছে। এভাবে বাংলাদেশের সবুজ পাসপোর্টের ভাবমূর্তি নষ্ট করার ব্যাপারে বাংলাদেশীদের কেউ কেউ অনেকটা এগিয়ে আছেন। সবমিলিয়ে স্বাধীনতার ৪৫ বছরের মধ্যে প্রথম ১২/১৩ বছর বাংলাদেশীরা অবাধে দেশ বিদেশ ঘোরার যে সুবিধা পাচ্ছিল সেটা তারা নিজেরাই গত ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে নানা ধরনের অপকর্মে জড়িয়ে নষ্ট করেছেন।

এখন যদি আমরা আমাদের দেশের সবুজ পাসপোর্টের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে চাই তাহলে আমাদেরকে কয়েকটি কাজ দ্রুত করতে হবে। এগুলো হলো:

১. বাংলাদেশী দূতাবাসগুলো থেকে সকল দুর্নীতিগ্রস্ত এবং পেশার প্রতি আন্তরিক নয় এমন সকল কর্মকর্তাদের অপসারণ করে দক্ষ, সৎ ও পেশার প্রতি আন্তরিক লোকদের নিয়োগ দিতে হবে।

২. বাংলাদেশী কমিউনিটির সকল ধরনের সুবিধা অসুবিধা দেখার পাশাপাশি দেশের সমৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের ইতিবাচক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করতে দূতাবাসগুলোকে কঠোর নির্দেশ দিতে হবে।

৩. বিদেশে বাংলাদেশী রাজনৈতিক দলগুলোর সকল অঙ্গসংগঠন নিষিদ্ধ করতে হবে।

৪. বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক ও ব্যবসায়িক দলের বিদেশ সফরের মধ্য দিয়ে আদম পাচার করার বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

৫. কোনো বাংলাদেশী যদি বিদেশে বসে কোনো ধরনের অপরাধে লিপ্ত হয়, জানামাত্র দূতাবাসের দিক থেকে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া এবং তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এবং এই বিষয়গুলো ওই দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের জানানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

৬. বিদেশে বাংলাদেশীদের সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে এবং সেগুলো স্থানীয় ও জাতীয় মিডিয়াতে প্রচার করার উদ্যোগ নিতে হবে।

৭. বিভিন্ন দেশে সরকারিভাবে বাংলা ভাষার পত্র-পত্রিকা ও রেডিও চ্যানেল তৈরি করে বাংলাদেশী কমিউনিটির মধ্যে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে।

৮. একটি পজেটিভ ইমেজ তৈরির জন্য দূতাবাসগুলো বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেবে।

৯. বাংলাদেশী দূতাবাসগুলো তাদের স্ব স্ব দেশের পরিচিত ও নামকরা বাংলাদেশীদের তালিকা তৈরি করবে এবং সেই তালিকাভুক্ত বাংলাদেশীদের নিয়ে দেশের ভাবমূর্তি বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নেবে।

১০. বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশী দূতাবাস ও বিদেশী নাগরিকদের সঙ্গে একটা কার্যকর যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশীদের সম্পর্কে তাদের মনে ইতিবাচক ধারণা তৈরি করা।

এই লেখা শেষ করব একটি সাম্প্রতিক ঘটনা উল্লেখ করে। আপনারা অনেকেই জানেন যে, হলি আর্টিজানের ন্যাক্কারজনক ঘটনায় কয়েকজন জাপানী মারা যাওয়ার পর জাপান সরকার তাদের দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণ ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সতর্কতা আরোপ করে। ওই ঘটনার পর জাপান ও বাংলাদেশের সম্পর্কের মধ্যে এক ধরনের শীতলতা তৈরি হয়েছে। সেই শীতল সম্পর্কে প্রথম উষ্ণতা নিয়ে আসে সাম্প্রতিক এক বিয়ের ঘটনা। জাপান সরকারের সতর্কতা উপেক্ষা করে কয়েকজন স্বনামধন্য জাপানী বাংলাদেশের একজন সুপরিচিত ও স্বনামধন্য ব্যক্তির ছেলের বিয়েতে অংশ নিতে বাংলাদেশে আসেন। যাদের মধ্যে একজন প্রাক্তন রাষ্ট্রদূতও ছিলেন। তাদের এই অংশ নেওয়ার ঘটনা জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্কের মধ্যে জমা থাকা বরফ গলার সুযোগ তৈরি করে দেয়। এরকম একটা সুযোগ হাতছাড়া করেনি বাংলাদেশ সরকার। সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীও সেই অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। যারা পত্র-পত্রিকা পড়েন এবং টেলিভিশনের খবর দেখেন তারা জানেন যে, গত সপ্তাহে জাপান সফর শেষে বাংলাদেশে ফিরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছেন যে, জাপান সরকার তাদের দেওয়া সতর্কতা অচিরেই প্রত্যাহার করে নেবে বলে সরকার আশা করছে।

আমি মনে করি বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বিগত দিনের অন্য বড়দলগুলোর রাজনৈতিক সরকারের চেয়ে যেকোনো ধরনের সুযোগকে চিনতে পারা ও সেই সুযোগকে কাজে লাগানোর ব্যাপারে এগিয়ে আছে। বিদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের সুযোগগুলো কাজে লাগানোর ক্ষেত্রেও আওয়ামী লীগের দক্ষতা লক্ষণীয়। এই অবস্থায় আমরা আশা করতে পারি যে, বাংলাদেশের স্বনামধন্য ব্যক্তি যারা দেশেই থাকেন কিন্তু বিভিন্ন দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে যাদের নিবিড় যোগাযোগ আছে সরকার সেই সব বাংলাদেশীদের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কথা ভাবতে পারে; যেমন- নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস, জিন বিজ্ঞানী আবেদ খান, ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ প্রমুখ বিশ্বজোড়া খ্যাতিমান মানুষদের পরিচিতিকে কাজে লাগাতে পারে। সেসঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশী যাদের সেই দেশের উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগ আছে তাদেরকেও বাংলাদেশ দূতাবাসের বিভিন্ন ধরনের কাজে যুক্ত করতে পারে। এখন সময়টা হলো কানেকশনের। উপরে উল্লেখিত কাজগুলো করার পাশাপাশি সঠিক সময়ে সঠিক মানুষের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের সঙ্গে উপযুক্তভাবে কানেক্ট করার মাধ্যমে বাংলাদেশের সবুজ পাসপোর্টের সোনালী দিন ফিরে পাওয়া সম্ভব হতে পারে, যদি সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে আসেন এবং জনগণ সরকারকে সহায়তা করে। দেশের ১ কোটি প্রবাসী মানুষের জন্য এবং সেসঙ্গে প্রতিবছর বিদেশগামী লাখো মানুষের জন্য সবুজ পাসপোর্টের হারানো মর্যাদা ফিরে পাওয়া এবং বিশ্বের সকল এয়ারপোর্টে সবুজ পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর চেয়ে বড় সম্মান আর কি হতে পারে। এখন সরকারের দিক থেকে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক সেটাই প্রত্যাশা।

(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে)