একজন সাংবাদিককে দায়িত্বপালনে বাধা দেয়ার ঘটনায় বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত গোলাম সারোওয়ারকে তলব করে জিজ্ঞাসা করেছে সুইডেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আগে বাংলাদেশী নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে আনোয়ার হোসেন নামের এক সাংবাদিকের দায়িত্বপালনে বাধা দেয়ার অভিযোগ ওঠে।
এই ঘটনায় সুইডেনের কর্তৃপক্ষের সমর্থন ছিল বলে আগে দাবি করেছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। তার এই বক্তব্যর ব্যাখ্যা জানতেই তাকে তলব করা হয়। ওই ঘটনায় সুইডিশ নিরাপত্তা বাহিনীর কী ভূমিকা ছিল তাও জানতে চাওয়া হয়। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে সুইডিশ রেডিও।
বাংলাদেশে থাকাকালে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে একটি হত্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়া হয় আনোয়ার হোসেনকে এবং তিনি পালিয়ে সুইডেন চলে আসেন। গত জুন মাসের ১৫ তারিখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুইডেন ভ্রমণে গেলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লোফবেনের সঙ্গে রোজেনবাডে দেখা হয়।
সেখানে ছবি তুলছিলেন আনোয়ার। কিছুক্ষণের মধ্যে বাংলাদেশের নিরাপত্তা রক্ষকারীবাহিনীর একজন সদস্য তার ক্যামেরা কেড়ে নেন এবং তার ছবি ডিলিট করে দিতে বাধ্য করেন।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রদূত গোলাম সাওয়ার সুইডিশ রেডিও দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন যে ওই সাংবাদিকের সাথে এমন ব্যবহার করার পিছনে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রীর গণমাধ্যম কর্মকর্তাদের সম্মতিতেই এই কাণ্ড ঘটে। অনেকে এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।
এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশকে ক্ষমা চাইতে সরকারকে চাপ প্রয়োগ করার আহ্বান জানান সুইডিশ বার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যান্নে রামবার্গ।
তিনি বলেন, একজন সাংবাদিকের তোলা ছবি জোড় করে মুছে দেয়ার কাজটি চরম সিরিয়াস ব্যাপার এবং এটি সুইডেনের মৌলিক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের উপরে আঘাত।