‘বলতেই হবে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ একটা সিনেমা’-এই শিরোনামেই ‘ঢাকা অ্যাটাক’ দেখে আসার পরবর্তী অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরিন। এই মুহূর্তে ঢালিউডের অন্যতম আলোচিত চলচ্চিত্র ‘ঢাকা অ্যাটাক’ দেখার পর তা নিয়ে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন তিনি।
‘ঢাকা অ্যাটাক’ কে ‘সিনেমা’র মতো সিনেমা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেখার সময় আপনার মনে থাকবেই যে, আপনি একটি ‘সিনেমা’ দেখছেন। এত ঝামেলা করে, জ্যাম পেরিয়ে, টিকেট কেটে আপনি বড় পর্দায় একটি মুভি দেখতে যাবেন, তারপর বিস্মৃত হবেন যে আপনি একজন দর্শক-মাত্র, তাহলে আর দেখা কেন!’
দল বেঁধে সিনেমা দেখতে যাওয়ার সামাজিক অভ্যাস ফিরিয়ে আনছে এই চলচ্চিত্র। সবাই মিলে একসাথে গিয়ে সিনেমার ভুল ধরে তা নিয়ে হাসাহাসি করার যে মজা তাও পাওয়া যাবে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ দেখতে গিয়ে; এমন মন্তব্য করে অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন উল্লেখ করেন, ‘গম্ভীর মুখে সিনেমা দেখবেন, সে নিয়ে ভারী ভারী আলাপ করবেন, সেটি আর যাই হোক, ‘জনপ্রিয়তা’ বোঝায় না’।
ছবির প্রশংসা ছাড়াও কিছু খটকা লাগা দৃশ্যেরও কথা উল্লেখ করেন অধ্যাপক গীতি আরা, তবে তাতে রসবোধই ফুটে উঠে। বিপজ্জনক অবস্থায় সোয়াত সদস্যের মোবাইল বেজে ওঠা বা কল ধরে কথা বলাটা কোন নিয়মের মধ্যে না পড়লেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটাই বাস্তব। আর তারই প্রতিফলন যেন ঘটেছে ‘ঢাকা অ্যাটাকে’।
জ্যামের জন্য পুলিশের গাড়ি রাস্তায় আটকে গিয়ে কোথাও যেতে পারছে না, এটাও দেশের বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে নির্ভুল বলেই উল্লেখ করেন তিনি।
তবে সাংবাদিক চরিত্রে অভিনয় করা চিত্রনায়িকা মাহিকে নিয়ে বেশ মজাই করেছেন অধ্যাপক গীতি। সত্যিকারের সাংবাদিকের সাথে মাহির কোনই মিল ছিল না বলে গীতি আরা নাসরিন উল্লেখ করেন, ‘এ বিষয়টিতে আমি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছি। আমার খানিকটা সন্দেহ, তার হাত থেকে বাঁচার জন্যই অন্যতম প্রধান চরিত্রকে জীবনের ঝুঁকি নিতে দেখা গেছে’।
সবাইকে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ দেখার জন্য শুভকামনাও জানিয়েছেন ড. গীতি আরা নাসরিন।
উল্লেখ্য, গেল সপ্তাহে মুক্তি পাওয়া তুমুল আলোচিত ও দর্শক নন্দিত ছবি ‘ঢাকা অ্যাটাক’ এবার দ্বিতীয় সপ্তাহেও দাপট অব্যাহত রেখেছে। দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রথম দিনে ঢাকার বাইরে নতুন আরো পনেরোটি সিনেমা হল দখলে নিল ছবিটি। প্রথম সপ্তাহে ১২২টি সিনেমা হলে মুক্তির পর দ্বিতীয় সপ্তাহে ছবিটি মোট ১৩০টি সিনেমা হলে চলছে।