দেশের উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও গাইবান্ধা রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবনতি হয়েছে। নদ নদীর পানি বেড়ে এবং বাঁধ ভেঙ্গে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
ফরিদপুর জামালপুর নেত্রকোনা এবং শেরপুরে এখনো পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ। টাঙ্গাইলের কালিহাতীর পৌলী ব্রিজ এলাকায় রেললাইনের মাটি ধসে যাওয়ায় ঢাকার সাথে উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
টাঙ্গাইল:
বন্যার কারণে টাঙ্গাইলের কালিহাতীর পৌলী ব্রিজ এলাকায় রেললাইনের মাটি ধসে যাওয়ায় ঢাকার সাথে উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল রুটে সব ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ওই রুটের টিকিট ফেরত দিচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ। রেললাইন মেরামতে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন রেল মহাপরিচালক।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে মহানন্দা ও পুনর্ভবা নদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গোমস্তাপুর উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। মানুষজন বাড়িঘর ছেড়ে সড়কে আশ্রয় নিয়েছে।
ফরিদপুর:
ফরিদপুরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, লক্ষাধিক মানুষ এখনো পানিবন্দি। দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের অভাব। ইতিমধ্যেই জেলার ৪৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয় সাময়িক বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।
জামালপুর:
জামালপুরের সাত উপজেলায় এখনো ৬ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি, হাজারের বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। দেখা দিয়েছে পানি বাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব।
কুড়িগ্রাম:
কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও নিন্মাঞ্চল এখনো পানির নিচে। বন্যা কবলিত এলাকায় নিরাপদ পানি ও গো-খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে।
নেত্রকোণা:
নেত্রকোণার নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করলেও কংস নদীর পানি এখনও বিপদসীমার উপরে। পানিবন্দি প্রায় ২ লাখ মানুষ।
শেরপুর:
শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ, দশানী ও মৃগী নদীর পানিবৃদ্ধির ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার রাস্তাঘাট বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
সিরাজগঞ্জ:
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও ৩০টি ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি। দীর্ঘদিন পানিবন্দি থাকায় এসব এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। দেখা দিয়েছে পানি বাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব।
শরীয়তপুর:
শরীয়তপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। জাজিরা, নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জের নিন্মাঞ্চলের ২০ টি ইউনিয়নের অন্তত ৪০টি গ্রামের সহশ্রাধিক বাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে জাজিরা-নড়িয়া সংযোগ সড়কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া সহ তিন উপজেলার নিন্মাঞ্চলের সড়কগুলো ডুবতে শুরু করেছ।