চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বন্যা ধেয়ে আসছে ঢাকার দিকে

বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি আর অবনতির সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীবাসির জন্য নতুন আশঙ্কা। দেশের উত্তরে কয়েক জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, আর কয়েকটিতে অবনতির মধ্যে ঢাকার নিম্নাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলের ৯ জেলাতেও বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঢাকার দিকে ধেয়ে আসা বন্যার সর্তকতা হিসেবে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। এমাসের ১৯-২০ তারিখ নাগাদ বন্যাকবলিত হয়ে পড়তে পারে ঢাকার নিম্নাঞ্চল। ব্রক্ষ্মপুত্র-যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে এখন যে পানিপ্রবাহ তা গত ৬০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ব্রক্ষ্মপুত্র-যমুনা নদীর নুনখাওয়া, চিলমারি, সারিয়াকান্দি, সিরাজগঞ্জ এবং আরিচার মতো স্পর্শকাতর পয়েন্টে আগামী ২৪ ঘণ্টায় পানি আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এর ফলে গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম এবং সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা ও করতোয়ায় ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় পানি কমে দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও, নীলফামারি ও লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। একই সময়ে সুরমা-কুশিয়ারায় পানি কমে সিলেট অঞ্চলেও পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। কিন্তু, নেপাল ও ভারতের বিহারে বন্যা পরিস্থিতির কারণে গঙ্গা-পদ্মায় আগামী তিন দিন পানি আরো বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় সেনাবাহিনী বেশ দক্ষতার সঙ্গে বন্যা কবলিত এলাকা ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার নিরাপত্তায় কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া বন্যার ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন তৎপরতার সঙ্গে গণমাধ্যমের একটি বিশেষ ভূমিকা দেখা যাচ্ছে, যা খুবই ইতিবাচক। তবে রাজধানী ও এর আশেপাশের এলাকা বন্যাকবলিত হলে দেশের প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড ব্যাহত হবার যে শঙ্কা, তা আমাদের ভাবাচ্ছে। রাজধানী বন্যাকবলিত হলে কী ধরণের ব্যবস্থা নেয়া লাগতে পারে এবং কীভাবে জনজীবন সচল রাখা যায়, তা নিয়ে ভাবতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়ে কারো হাত নেই কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় পূর্বপ্রস্তুতি অবশ্যই প্রয়োজন। সেই পূর্ব প্রস্তুতির পরিকল্পনা থাকতে হবে বছরজুড়েই। দেশের নদীনালা, খাল-বিল উদ্ধারসহ স্বাভাবিক নাব্যতা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং পদক্ষেপ নেয়া সময়ের দাবি। আশা করি বিষয়গুলোর গুরুত্ব বুঝে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।