চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বন্যার পানি কমতে থাকায় বাড়ি ফিরছে দুর্গত মানুষ

দিনাজপুর ও নীলফামারীসহ কয়েকটি জায়গায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমতে থাকায় বন্যা দুর্গতরা নিজের বাড়িতে ফিরছে। তবে নেত্রকোণা ও রংপুরে বন্যার পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন।

দিনাজপুর
দিনাজপুরে বন্যার বন্যার পানি নেমে গেলেও এখনও জেলার ২১৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৪১ হাজার ৬’শ ৫০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়ে আছে। তবে এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। প্রকোপ আকার ধারণ করেছে পেটের পীড়াসহ নানা রোগ।

গাইবান্ধা
গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, ঘাঘট ও তিস্তার পানি কমতে থাকায় সুন্দরগঞ্জ, সাদুল্লাপুর, সাঘাটা ও সদর উপজেলা বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে করতোয়া নদীর পানি বাড়া অব্যাহত থাকায় জেলার পলাশবাড়ী গোবিন্দগঞ্জ ও সাঘাটা উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ
যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি সিরাজগঞ্জে পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

যমুনার পানি কমলেও করোতোয়া, ফুলজোড়, হুরা সাগর ও ইছামতিসহ জেলার অভ্যন্তরিন নদ নদীর পানি না কমায় এখনও দুর্ভোগ কমেনি। বন্যায় জেলার ৪৫ টি ইউনিয়নের এখনও প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। বসতবাড়ি থেকে পানি না নামায় এসব এলাকার মানুষ বাধের উপর ও উচু স্থানে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুষ্ক খাবারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে এসব এলাকায়।

কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু নদ-নদীর তীরবর্তী নিন্মাঞ্চলের ঘর-বাড়ি তলিয়ে থাকায় ঘরে ফিরতে পারছে না বানভাসিরা।

রংপুর:
রংপুর বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। এরই মধ্যে গঙ্গাচড়া লহ্মীটারী, নোহালী, আলমবিদিতর ইউনিয়নের অর্ধ শতাধিক ঘরবাড়ি তিস্তা নদী ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে গেছে। এরই অবস্থা নেত্রকোণায়। অব্যহত ভাঙ্গনে কয়েকশ’ ঘরবাড়ি ও ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

মুন্সিগঞ্জ:
মুন্সিগঞ্জে পদ্মার ভাঙনে পগেছে টঙ্গীবাড়ি উপজেলা। এরই মধ্যে নদীগর্ভে চলে গেছে ৮বাড়িঘর। হুমকির মুখে রয়েছে শতাধিক বাড়িঘর মসজিদ।