গত বছর লিবিয়া থেকে ইটালি যাবার সময় বাংলাদেশী দালালদের হাতে অপহৃত হন ভৈরবের দীপু ইসলাম। দালালরা দীপুকে আটকে রেখে বাংলাদেশে তার পরিবারের কাছে ফোনে দাবি করে মোটা অঙ্কের টাকা।
প্রবাসী দীপুর বড় ভাই কাজী জাহাঙ্গীর চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, মুক্তিপণের টাকা চেয়ে ফোনে দীপুর চিৎকার শোনানো হতো। আমার ভাইকে ওরা অনেক অত্যাচার করেছে। পরে তাদের অপহরণকারীদের পাঠানো ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চার লক্ষ টাকার দেবার পর তারা দীপুকে ছেড়ে দেয়।
লিবিয়াতে বাংলাদেশী প্রবাসিদের অপহরণের পর ভয়ভীতি দেখিয়ে মুক্তিপণ আদায় করছে এমন প্রায় ৮ থেকে ১০ জন ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আসামীরা হলেন- মুজিবুর জমাদ্দার (৪৫), তার স্ত্রী নুরজাহান (৩৯) ও তার জামাতা হান্নান মিয়া (৩২)। তাদের তিনজনকে ৩ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এসময় তাদের তিনটি অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা জব্দ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিআইডি’র অর্গানাইজড ক্রাইম টিম বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গত ২২ এপ্রিল মাদারীপুরের শিবচর জেলায় ব্র্যাক ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক শাখায় ৩টি সঞ্চয়ী হিসারের তদন্ত করে ১ মহিলাসহ আন্তর্জাতিক অপরহণকারী চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
মোল্লা নজরুল ইসলাম আরো বলেন, এটি একটি মানি লন্ডারিংয়ের অন্তর্ভুক্ত মামলা। তারা বিদেশে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অপহরণ করে, আটকে রেখে দেশে থেকে মুক্তিপণ দাবি করে। সেই টাকা আদায়ের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে।
এই চক্রের মূল হোতা মুজিবুর জমাদ্দার লিবিয়া ছিলেন। সেখানে সংঘবদ্ধ একটি চক্রের সঙ্গে এমন কাজ করতেন। ৬ মাস আগে তিনি দেশে এসে মুক্তিপণের টাকা সংগ্রহের দায়িত্ব পালান করছিলো।