ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার পরাজয়ের প্রধান কারণ হিসেবে দায়ী করেছেন এফবিআই প্রধান জেমস কোমিকে। পার্টির দাতাদের সঙ্গে হিলারির ফাঁস হওয়া এক ফোনালাপ থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
তার দাবি, নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন আগে এফবিআই প্রধান হিলারির ইমেইল নিয়ে নতুন করে তদন্তের ঘোষণা দিলে ডেমোক্র্যাট নেতার জনসমর্থনে ভাটা পড়ে। এটি তার নির্বাচনী প্রচারণার শক্তি নষ্ট করে দিয়েছিল।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে হিলারি ক্লিনটন রাষ্ট্রীয় তথ্য আদানপ্রদানে ব্যক্তিগত ইমেইল সার্ভার ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০১৫ সালে প্রথম অভিযোগটি উঠলেও তদন্তের পর গুরুতর কিছু পাওয়া যায়নি বলে এফবিআই জানিয়েছিল। এ কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না আনারও সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।
কিন্তু ৮ নভেম্বরের নির্বাচনের মাত্র দশদিন আগে জেমস কোমি কংগ্রেসকে চিঠি দিয়ে জানান তিনি নতুন কিছু ইমেইলের খোঁজ পেয়েছেন এবং সেগুলো নিয়ে আবারও তদন্ত করবেন।
এরপর নির্বাচনের মাত্র দু’দিন আগে আবারও এক চিঠিতে কোমি জানান, নতুন পাওয়া চিঠিতেও হিলারির বিরুদ্ধে গুরুতর কিছু পাওয়া যায়নি। তাই এবারও তার নামে কোনো অভিযোগ দায়ের হবে না।
রিপাবলিকান পার্টির সমর্থকরা অবশ্য অনেকেই বলছিলেন হিলারি ক্লিনটনকে পেছন থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সহায়তা দেয়া হচ্ছে যেন তার বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত না হয়।
নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে হিলারিকে প্রকাশ্যে খুব একটা দেখা যাচ্ছে না।
নির্বাচনের আগ মুহূর্তে ইমেইল কেলেঙ্কারির ব্যাপারটি আবার উঠে আসার কারণে হিলারি ক্লিনটনের ওপর আমেরিকানদের বিশ্বাসের ঘাটতি তৈরি হয়েছিল বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। ঘটনাটি অনেক ভোটারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে উল্লেখ করেন তারা।
হিলারি বলেন, জেমস কোমির অভিযোগের পর প্রচারণার গতি না কমিয়ে আরও বাড়িয়ে দেয়া উচিত ছিল।