হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি হান্নানের সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুলের মরদেহ গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তার বাবা হেমায়েত হোসেন পাটওয়ারী। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিপুলের ফাঁসির বিষয়টি অবহিত করলে জঙ্গি ছেলের মরদেহ তিনি নেবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন তার বাবা। এমনকি লাশ দেখবেনও না বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে বিপুলের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের মৈশাদী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পাটওয়ারী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানেই তার দাফন করা হয়েছে।
বুধবার রাত ১০টা এক মিনিটে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রিপনের ফাঁসি কার্যকর করা হয় বলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. ছগির মিয়া।
এর আগে সন্ধ্যা সাতটার দিকে দুটি মাইক্রোবাস ও একটি অটোরিকশা যোগে শেষ দেখা করতে কারাগারে প্রবেশ করেন রিপনের পরিবারের আনুমানিক ২৫ সদস্য। এদের মধ্যে বাবা আ. ইউসুফ, মা আজিজুন্নেছা, ভাই নাজমুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রয়েছেন বলে কারা সূত্র জানিয়েছে।
সিনিয়র জেল সুপার ছগির মিয়া জানান, পরিবারের সদস্যদের সাথে শেষ দেখা করার পর রিপনকে গোসল ও তওবা পরানো হয়। রিপনকে তওবা পড়ান নগরীর আবু তোরাব মসজিদের ইমাম মাওলানা মুফতি মো. বেলাল উদ্দিন।
সিলেটে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় এই ফাঁসি কার্যকর করা হলো।