বয়সটা বেড়ে যাচ্ছে। চল্লিশ পেরুনোর আগেই অনেকের মুখে শোনা যাচ্ছে এ অভিযোগ। শরীরে বয়সের ছাপের স্পষ্ট চিহ্ন দেখে আঁতকে উঠছেন অনেকেই। বন্ধু-বান্ধবরা ঠাট্টা করছে তুই বুড়িয়ে গেলি! বয়স বাড়ার আগেই এই অনাকাংক্ষিত বয়স বাড়া থেকে নিজেকে রক্ষা করার সমাধান কিন্তু ফলমূলেই। জেনে নিন এমন পাঁচটি ফলের কথা। যা ধরে রাখবে আপনার তারুণ্য। প্রাণবন্ত আর উচ্ছল রাখবে আপনার চেহারাকে।
পাকা জামে রঙিন মুখ
ঠিক ছেলেবেলার মতো পাকা জামে মুখ রঙিন করে ফেলুন। বাচ্চাদের মতো দাগের ভয় না করে ইচ্ছে মতোন জাম খান। আপনার বার্ধক্য পালিয়ে যাবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জাম জাতীয় ফলে প্রচুর পরিমাণে এন্টি-অক্সিডেন্ট থাকে।
আর এই এন্টি-অক্সিডেন্ট আপনার চামড়ার যত্ন নেয়। ত্বকের ক্ষতি থেকে আপনাকে দেবে সুরক্ষা। মুছে ফেলবে বয়সের ছাপ। কেবল কালো জামই নয়। স্ট্রবেরিও খেতে পারেন প্রচুর।
‘ডালিম’ বন্ধু
ডালিমকে বন্ধু বানান। অফিস থেকে ফেরার পথে মাঝে মাঝে কিনে আনুন ডালিম। এমনিতেই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ডালিমের খ্যাতি বেশ। সেই সাথে এই ফলটি আপনার বয়সও কমিয়ে দেবে। চেহারায় ফুটিয়ে তুলবে লাবণ্য। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন,ভিটামিন সি আর এন্টি-অক্সিডেন্ট। তা আপনার ত্বককে রক্ষা করবে বন্ধুর মতো।
বিউটি ক্রিম,লোশন কিংবা শ্যাম্পু আর কন্ডিশনার বানাতে কিন্তু ডালিমই ব্যবহার করা হয়। সুতরাং বয়সটা কমাতে চাইলে ডালিমের সাথে আড্ডা আর বন্ধুত্বটা জমিয়ে ফেলুন ভালো করে।
গ্রিন টি’র জাদু
গ্রিন টি একটি জাদুকরী উপাদান। ওজন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ বা ক্যানসারের ঝুঁকি কমানো ছাড়াও রয়েছে নানান গুণ। গ্রিন টি শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় উপকারী কোলেস্টেরলের পরিমাণও বাড়ায়। গ্রিন টি’তে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকার ফলে রক্তচাপ, হ্রদরোগ এবং হতাশা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। যা আপনার তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
তরমুজ হররোজ
প্রতিদিন দুই কাপের মতো তরমুজ খেলে শরীরে ভিটামিন ‘এ’ এবং ভিটামিন ‘সি’ র চাহিদা মেটে। এতে থাকা পটাশিয়াম শরীরের মিনারেলসের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। সবুজ খোসাসহ তরমুজ ক্যানসার রোগীদের জন্য খুবই আদর্শ। এ ছাড়া অ্যাজমা, ডায়াবেটিসের মতো রোগ এবং ব্যথা উপশমে তরমুজ ভারি উপকারী।
মধুময় মধু
প্রতিদিন সকালে মধু খেলে ওজন কমে। বিশেষ করে সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানিতে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেলে বেশ খানিকটা ওজন কমে যায় কিছুদিনের মধ্যেই। এছাড়াও এভাবে প্রতিদিন খেলে লিভার পরিষ্কার থাকে, শরীরের বিষাক্ত উপাদানগুলো বের হয়ে যায় এবং শরীরের মেদ গলে বের হয়ে যায়
মধুতে আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাস উপাদান। ত্বকের যত্নে মধুর জুড়ি নেই। সকালে ত্বকে মধু লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে মধুর বেশ কিছু উপাদান ত্বক শুষে নেয়। ফলে ত্বক মসৃণ ও সুন্দর হয়। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের দাগও চলে যায়।নিয়মিত মধু ব্যবহারে আপনি আপনার বয়সের ছাপও দূর করতে পারবেন। ফেমিনা।