শিশুদের জন্য প্রচারিত ভিডিওগুলোতে স্বীয় নির্দেশনা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে ইউটিউব। প্রাপ্তবয়স্ক উপাদান থেকে শিশুদের সুরক্ষা করতে ব্যর্থতার সমালোচনার মুখে তাদের এই পদক্ষেপ বলে বুধবার জানিয়েছে আলফাবেট ইনক গুগল।
এই ভিডিও স্ট্রিমিং সার্ভিস গত সপ্তাহে অর্ধশতাধিক ইউজার চ্যানেল সরিয়ে ফেলেছে। এছাড়াও জুন থেকে ৩৫ লাখেরও বেশি ভিডিওতে বিজ্ঞাপন চালানো বন্ধ করে দিয়েছে। একটি ব্লগ পোস্টে এমনটি জানান ইউটিউবের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহান্না রাইট।
এছাড়াও কোন ভিডিওতে শিশুদের প্রতি কোন খারাপ মন্তব্য করা হলে মন্তব্য করার অপশনও বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন এবং উপাদানগত নীতি বিষয়ে পর্যালোচনা ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে জনবল বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন রাইট। এজন্য হাজারো মানুষ ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
রাইট বলেন, এই নতুন পদক্ষেপের ফলে যে পরিবর্তন আসবে, তা আগামী সপ্তাহ ও মাসগুলোর মধ্যেই একটি আকৃতি পাবে।
অনুপোযোগী ভিডিও চিহ্নিত করতে মডারেটররা ব্যবহারকারীদের রিভিও আবেদন, বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল ও স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটার প্রোগ্রামের উপর নির্ভর করে।
অনলাইন ভিডিও পোস্টের প্রক্রিয়া সহজতর করায় এবং সীমিত সীমাবদ্ধতার জন্য ইউটিউব গুগলের সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল খাত হয়ে উঠেছে।
এই সার্ভিসের উন্মুক্ত প্রকৃতির জন্য অভিভাবক, নিয়ন্ত্রক, বিজ্ঞাপনদাতা এবং আইনপ্রয়োগকারীদের উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। অসংলগ্ন ভিডিও বাদ দেওয়া ও সীমিত করার জন্য গুগলের কাছে দাবি করে আসছে তারা।
কয়েকদিন আগে বাজফিড, নিউ ইয়র্ক টাইমস গণমাধ্যম ও ব্রিটিশ লেখক জেমস ব্রিডল কয়েকটি বিতর্কিত ক্লিপ চিহ্নিত করে দেন।
ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্মের কয়েকটি ফোরাম ইউটিউবের পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছে। যাচাই প্রক্রিয়া আরও বাড়ানোর কথাও বলেছে তারা।