চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

প্রসব জটিলতায় দিনে ১৪ জন মায়ের মৃত্যু

বিশ্ব নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস আজ। দেশে প্রতিদিন গড়ে ১৪ জন মা প্রসবজনিত জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। ২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জনে মাতৃমৃত্যুর এই হার প্রতি লাখে ৭০ বা এর নিচে নামাতে হবে। এজন্য জোর দিতে হবে মায়েদের প্রসবকালীন সেবার নিশ্চয়তা ছাড়াও শিশুর জন্মগত ক্রুটি জনিত সমস্যা সমাধানের দিকে।

পাঁচ মাস বয়সী শিশু রিফাত। জন্মগত ত্রুটি ‘ফিটাস ইন ফিটু’ নিয়ে জন্ম হয়েছিলো শিশুটির। এর মানে, রিফাতের পেটের ভিতরে ছিলো আরেকটি অপরিণত শিশু। কিশোরগঞ্জের নিয়ামতপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চল বানিয়াচংয়ে জন্ম নেয়া রিফাতের ওই সমস্যা সনাক্ত করাই সম্ভব হয়নি।

সম্প্রতি শিশু রিফাত শ্বাসকষ্টসহ নানান জটিলতায় আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের শরন্নাপন্ন হয়। তখনই রিফাতের গর্ভে আরেকটি শিশুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। গত বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের শিশু সাজার্রি বিভাগে রিফাতের শরীর থেকে ১৫’শ গ্রাম ওজনের অপরিনত শিশু অপসারণ করেন চিকিৎসকরা।

অথচ মায়ের গর্ভাবস্থায় শিশুটির শরীরের এই অস্বাভাবিকতা আল্ট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে সনাক্ত করা সম্ভব ছিলো। গর্ভাবস্থায় তিন দফায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েও সুফল পায়নি রিফাতের মা লতিফা।

চিকিৎসকরা বলছেন, গর্ভাবস্থায় কমপক্ষে চারবার এন্টিনেটাল চেকআপ জরুরী। আর যে কোন জন্মগত ও গঠনগত জটিলতা এড়াতে মায়েদের রক্তাল্পতা আছে কিনা, পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শে জিংক, ফলিক এসিড এমনকি ভিটামিন ডি সেবনও জরুরী।

বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: