চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

প্রশ্নের উত্তরটি খুঁজছি: তারিক সালমন

বাবা গাজী তারিক সালমনকে নিয়ে ঘটনা স্পর্শ করেছে তার শিশু সন্তান ঈশানের মনকেও। ঈশান ইউএনও সালমনের পাঁচ বছর বয়সী ছেলে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃত করার অভিযোগে করা মামলা প্রত্যাহারের পরের দিন ফেজবুকে দেয়া এক স্টাটাসে তিনি লিখেছেন, “ওর নাম রেখেছি ‘তরুণ ঈশান’। নজরুলের কবিতা থেকে। আমার একমাত্র সন্তান। বয়স পাঁচ ছুঁই-ছুঁই। সে একটা প্রশ্ন করেছে তার মাকে। সেই প্রশ্নের উত্তর এখনো পায়নি সে। টিভিপর্দায় সে দেখেছে যে তার বাবাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। সে জানে, পুলিশ দুষ্টু লোকদেরই ধরে শুধু (কারণ সে মাঝেমধ্যে ‘ক্রাইম পেট্রল’ দেখে সনি আট চ্যানেলে)।

ঈশান জিজ্ঞাসা করেছে তার মাকে, “আমার বাবাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে কেন? বাবা কি দুষ্টু?”। তনু, আমার স্ত্রী, এই প্রশ্নটির জবাব দিতে পারেনি তার ছেলেকে এখনো।

এই প্রশ্নের উত্তরটি আমরা খুঁজছি।”

এর আগে তারিক সালমনের সর্বশেষ স্ট্যাটাস ছিল গত ১৬ জুলাই। সেখানে তিনি লিখেছিলেন: তোমরা যেখানে সাধ চলে যাও/ আমি এই বাংলার পারে র’য়ে যাব।

গাজী তারিক সালমন বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকাকালে ২৬ মার্চের অনুষ্ঠানের একটি আমন্ত্রণপত্র প্রকাশ করেন। ওই আমন্ত্রণপত্রের পেছনের পাতায় পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া একজন শিশুর আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাপানো হয়।

ওই ছবিতে বঙ্গবন্ধুকে বিকৃত করে উপস্থাপন করে মানহানী করা হয়েছে এমন অভিযোগে গত ৭ জুন ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে সালমনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ওবায়েদুল্লাহ সাজু।

গত ১৯ জুলাই ওই মামলায় জামিন চাইতে গেলে বরিশালের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট্র আদালতের বিচারক মো. আলী হোসাইন প্রথমে তাকে কারাগারে পাঠান। তবে কয়েক ঘণ্টা পর তাকে আবার জামিন দেন।

নানা সমালোচনার মুখে রোববার সেই মামলা প্রত্যাহার করে নেন বাদী। তার আগে দল থেকে তাকে বহিস্কার করে কেন্দ্রীয় অাওয়ামী লীগ।