আগামী ২৪ তারিখের মধ্যে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী রায়ের প্রাসঙ্গিক, অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক বক্তব্য প্রত্যাহারসহ সম্পূর্ণ রায় বাতিলপূর্বক প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ দাবি করে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ফজলে নূর তাপস এমপি বলেছেন, অন্যথায় আগামী অক্টোবর থেকে এক দফা আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে অপসারণের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা অপ্রাসঙ্গিক, অসাংবিধানিকভাবে যে মন্তব্য করেছেন এ মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি আামদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করেছেন।
“তিনি সংসদকে হেয় করেছেন। তিনি মহিলা সংসদ সদস্যের বিষয়ে কটুক্তি করে নারীদের হেয় করেছেন। তাদের হেয় করে গোটা নারী সমাজকে হেয় করেছেন। সর্বোপরি তিনি তার রায়ে উল্লেখ করেছেন তিনি নাকি কারো সার্ভেন্ট না। তিনি প্রজাতন্ত্রের কোন কর্মকর্তা না। তিনি হলেন নিজেই মাস্টার। আমরা তার নিন্দা জানাই।”
তাপস বলেন, গত পরশু দিন তিনি প্রধান বিচারপতির আসনে এজলাসে বসা অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীকে চোখ রাঙানির মাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন যে, পাকিস্তানের মতো প্রধানমন্ত্রীকে নাকি তিনি পদ থেকে সরিয়ে দিতে পারেন।
এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি তার শপথ ভঙ্গ করেছেন। প্রধান বিচারপতি এজলাসে বসে প্রধানমন্ত্রীকে এই রকম হুমকি দেয়া নজিরবিহীন। এটা শপথ ভঙ্গের শামিল।
সুতরাং আগামী ২৪ তারিখের মধ্যে এই রায়ের প্রসাঙ্গিক, অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক বক্তব্য প্রত্যাহারসহ সম্পূর্ণ রায় বাতিলপূর্বক তিনি অচিরেই পদত্যাগ করবেন। অন্যথায় আগামী অক্টোবর থেকে এক দফা আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে অপসারনের আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে আমরা বাধ্য হবো।
সংগঠনের আহবায়ক ইউসুফ হোসেন হুমায়ন বলেন, আমি একটি কথা বলতে চাই, বাংলাদেশ ইজ নট পাকিস্তান এটা মনে রাখতে হবে। এ বাংলাদেশ রক্তের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ। এটা অসম্প্রদায়িক- অগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। কাজেই ওই সব কথা বলে পার পাবেন না।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে এক মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
সংগঠনের আহবায়ক ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক নুরুল ইসলাম সুজন এমপি, সাবেক বিচারপতি মুনসুরুল হক চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, অ্যাডভোকেট লায়েকুজ্জামান মোল্লা, সাবেক সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী, সানজিদা খানম এমপি, আওয়ামী পন্থি আইনজীবী নেতা আজহার উল্লাহ ভুইয়া, রবিউল আলম বুদু।