প্রথমবারের মতো এজলাসে বসে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেটের ব্যবহার করলেন আপিল
বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি আদেশ দেওয়ার সময় একটি মন্ত্রণালয়ের নাম নিয়ে সংশয়ে
পড়লে আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন সঙ্গে সঙ্গে তার স্মার্ট ফোন
বের করে ইন্টারনেটে ঢুকে মন্ত্রণালয়ের নামটি জেনে প্রধান বিচারপতিকে
নিশ্চিত করেন।
দেশের সর্বোচ্চ আদালতে প্রযুক্তি ব্যবহারের এমন খবরে
আইনজীবীরা আশা করছেন, আদালত ভবিষ্যতে আরো প্রযুক্তিবান্ধব হবেন, নিজেরা
প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি আইনজীবীদেরও প্রয়োজনে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে
দেবেন।
সোমবার দিনের শুরুর দিকেই আপিল বিভাগের এজলাসে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের ইতিহাস রচিত হয়।
সময় তখন সকাল সাড়ে ৯টা ২০ মিনিট। কয়েকটি মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্তের পর লিবিয়ায় জনশক্তি যেতে দেওয়া না দেওয়া নিয়ে শুরু হয় মামলার শুনানি। উভয়পক্ষের বক্তব্য উপস্থাপন শেষে আদেশ দিচ্ছিলেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের অর্থ না দিলে মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে বললেও একটু দ্বিধায় পড়েন মন্ত্রণালয়ের নাম নিয়ে।
তবে প্রযুক্তির কল্যাণে সমাধান এসে গেলো সঙ্গে সঙ্গেই।
আপিল বিভাগের চার বিচারপতির একজন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন নিজের মোবাইল ফোন বের করে ওয়েবসাইটে গেলেন। কিছু সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের নামটি যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, তা নিশ্চিত হয়ে প্রধান বিচারপতিকে দেখালেন। নামটি জেনে রায়ে মন্ত্রণালয়ের সঠিক নামটি দিয়ে দিলেন প্রধান বিচারপতি।
আপিল বিভাগে বিচারপতিদের প্রযুক্তির এমন ব্যবহারে মুগ্ধ হন উপস্থিত সাংবাদিক ও আইনজীবীরা।
অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা পরে চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, বিষয়টি ইতিবাচক। প্রধান বিচারপতির আদালতে আইনজীবীদের ল্যাপটপ ব্যবহারের অনুমতি থাকা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।