চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

প্রধানমন্ত্রীকে গণসংবর্ধনা দেবে আওয়ামী লীগ: ওবায়দুল কাদের

জাতিসংঘের ৭২তম অধিবেশন শেষে ৭ অক্টোবর দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে ফিরলে তাকে গণসংবর্ধনা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির যৌথসভা শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

৭ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় লন্ডন থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সিলেট হয়ে ঢাকা হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী।

গণসংবর্ধনা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের জানান, ওই দিন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের নেত্রীকে আনতে বিমান বন্দর যাবে। এসময় বিমান বন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত রাস্তায় দুই ধারে ফুল হাতে সকলে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নেবে। আমরা চাচ্ছি শুধু আওয়ামী লীগ নয়; জনসাধারণকেও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে।

এর পাশাপাশি সমাজে বিশিষ্ট ও গুণীজনেরাও ফুল হাতে প্রধানমন্ত্রী সংবর্ধিত করবে বলে আমরা আশা করছি। তবে, সংবর্ধনার কারণে যেনো সাধারণ জনগণ ভোগান্তিতে না পড়ে সেদিকে সর্বোচ্চ খেয়াল রাখার রাখা হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। বলেন, নেত্রীর নির্দেশনাও তেমন।

পদ্মাসেতু এবং জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর সাফল্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন: পদ্মা সেতু আর কারও কৃতিত্ব নয়; শেখ হাসিনার একক কৃতিত্ব। তার নেতৃত্ব স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন বাস্তব রূপে আমাদের সামনে এসেছে। নদীর বুকে দৃশ্যমান এখন পদ্মা সেতু।

আমরা চাইছিলাম পিছিয়ে হলেও পিলারের ওপর স্প্যান বসানোর কাজ উদ্বোধন তার হাত দিয়েই হোক। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তা সম্ভব হয়নি। তারপরও আমরা অপেক্ষা করতে চাইছিলাম। নেত্রীর সঙ্গে আমি কথা বলি। তিনি আমাকে বললেন, আমার জন্য যেনো সেতু কাজ একদিনও বন্ধ না থাকে। শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর আমি উদ্বোধন করি।

একসময় তো মনে হয়েছিলো বাস্তবে আর পদ্ম সেতু দেখা হবে না, পিলার মাটি পায় না, পদ্মার বুকে যেনো আরও এক পদ্মা!

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের নেত্রী জাতিসংঘে সঙ্কট সমাধানে ৫ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন। যা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদেও আলোচনা হয়েছে। ৯ সদস্যের ৭ টি দেশই বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। শুধু চীন ও রাশিয়া বাদে। অবশ্য তারাও বাংলাদেশের প্রস্তাবে নমনীয় অবস্থান দেখিয়েছে।

তারপরও আমরা আশা করবো শেখ হাসিনার ডাকে যেখানে সারা বিশ্ব যেখানে রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে,  সেখানে চীন-রাশিয়াও বিশ্ববাসীর আবেদন বুঝতে সমর্থ হবে। তাদের এ অবস্থানই যেনো শেষ কথা না হয়।

তারপর শেখ হাসিনার কূটনৈতিক সাফল্যে মিয়ানমার এখন নমনীয় অবস্থানে এসেছে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। আজ সু চি’র একজন মন্ত্রী আলোচনার জন্য আসছে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে চাইছে। এসব সম্ভব হয়েছে আমাদের নেত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বের কারণে। আজ শুধু বাইরেই নয় মিয়ানমার তার দেশের ভেতরেও রোহিঙ্গাদের প্রতি নমনীয় হয়েছে।

যৌথ সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন দলটির সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং মহানগরের সকল সংসদ সদস্যরা।