গত বছর ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল আইসল্যান্ড। ইউরো আসরে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল তারা। ইউরোর পর এবার আরও একটি বড় আসরে জায়গা করে নিয়েছে ছোট দেশটি। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলবে তারা।
যেখানে প্রথম ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা। তবে দুবারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে ‘ভয়’ পাচ্ছে না দলটি। বরং মেসি-আগুয়েরোরা প্রতিপক্ষ হিসেবে ‘রোমান্টিক ও মজার’ বলেই জানাচ্ছে আইসল্যান্ড।
রাশিয়া বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া ৩২টি দেশের মধ্য সবচেয়ে ছোট দেশ আইসল্যান্ড। শুক্রবার বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বের ড্র’র পর এই দেশটির প্রথম প্রতিপক্ষ দাঁড়িয়েছে তারকায় ঠাসা শক্তিশালী আর্জেন্টিনা। তবে ম্যাচটাকে চাপ হিসেবে নিচ্ছেন না দলটির কোচ হেইমির হেলগ্রিজসন, ‘এটা শুধুই রোমান্টিক এবং মজার’।
১৬ জুন মস্কোতে মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা-আইসল্যান্ড। ভলগোগার্ডে ২২ জুন দ্বীপ দেশটির পরের প্রতিপক্ষ নাইজেরিয়া। আর ২৬ জুন গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে তারা খেলবে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে।
হেলগ্রিজসন বলছেন, তার দল তিনটি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেই তাদের সম্ভাবনাকে কল্পনা করে। যদিও তিনি স্বীকার করছেন যে, দুইবারের বিশ্বকাপ বিজয়ীদের বিরুদ্ধে কাজটা অন্য প্রতিপক্ষদের তুলনায় বেশি কঠিন হবে।
আইসল্যান্ড কোচ বলছেন, ‘আমরা যদি ভাল ফুটবল খেলতে পারি, তাহলে তাদের (আর্জেন্টিনা) ভাল প্রতিদ্বন্দ্বীতা উপহার দিতে পারব। সবাই জানেন, ফুটবল সবসময়ই আপনাকে একটা সুযোগ দেবে। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে আইসল্যান্ড কতটা পাবে সেটা জানি না। কিন্তু গত কয়েক বছর আমাদের যে পারফরম্যান্স, তাতে প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক ম্যাচই হবে।’
২০১৬ ইউরোতে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠছিল আইসল্যান্ড। তবে স্বাগতিক ফ্রান্সের কাছে ৫-২ গোলে হেরে বিদায় নিতে হয় তাদের।