লেখাপড়া শেষে বের হয়ে আসা তরুণদের কর্মক্ষেত্র হিসেবে পোশাক খাতকে বেচে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিজিএমইএ‘র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত ‘স্টেকহোল্ডার’স শেয়ারিং মিটিং আইএলও আরএমজি সেন্টার অব এক্সিলেন্স প্রজেক্ট’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ আহ্বান জানান।
সেন্টার অব এক্সিলেন্স ফর বাংলাদেশ অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রি (সিবাই), এইচএন্ডএম ও আইএলও’র যৌথভাবে এই আলোচনার আয়োজন করে।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। তাই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রশিক্ষণ ও গবেষণার মাধ্যমেও পোশাক খাতে উন্নয়ন করতে হবে।
অুনষ্ঠানে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীনিবাস রেড্ডি বলেন, নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের পোশাক খাতে প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। তবে এ খাতে মধ্যম স্তরে দক্ষ জনশক্তির যথেষ্ট অভাব রয়েছে। মধ্যম স্তরের জনশক্তি সরবরাহ বাড়ালে এ খাত আরো এগিয়ে যাবে।
শ্রীনিবাসের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজিএমএ‘র সভাপতি বলেন, বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের পোশাক খাত সমাদৃত। সিংহ ভাগ আয় আসে এ খাত থেকে। কিন্তু দুঃখের বিষয় বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষিত যুবক পোশাক খাতে চাকরি করতে আগ্রহ দেখায় না।
শিক্ষিত যুবকদের তৈরি পোশাক খাতে চাকরি করতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এ খাতে মার্চেন্ডাইজিং ও বায়িং হাউজে ভাল বেতনে চাকরি করার অনেক সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্ব তৈরি পোশাক বাজারে বাংলাদেশের শেয়ার রয়েছে ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ। যেখানে চীনের শেয়ার রয়েছে ৩৬ থেকে ৩৭ শতাংশ। কিন্তু চীন তাদের পোশাক বাজার থেকে ধীরে ধীরে সরে আসছে। অতএব এই সুযোগে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাজারে আরো এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এটাকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত চারলোটা স্কালাইটার বলেন, বাংলাদেশের শুরু থেকে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সুইডেন পাশে ছিল। ভবিষ্যতেও থাকবে। দক্ষ কর্মী গড়ে তুলতে সিবাই তাদের প্রশিক্ষণের ধারা অব্যাহত রাখবে । ধীরে ধীরে এর মাধ্যমে আরও বেশি সংখ্যক কর্মী প্রশিক্ষিত হয়ে উঠবে বলে প্রত্যাশা করি।
বিজিএমইএ‘র সাবেক ও সিবাইর বর্তমান সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, সিবাইর মাধ্যমে তৈরি পোশাকের ফ্যাশন, ডিজাইনসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা করে। পোশাক খাতে ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড লিংকেজে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলো কিভাবে অতিক্রম করা যায় সেজন্য সিবাই কাজ করছে। তবে এই জন্য আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর আরো সহায়তা প্রয়োজন।
প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির সিইও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আফতাব উদ্দিন আহমেদ জানান, সিবাইর অধীনে প্রশিক্ষণ শেষ করে এখন পযর্ন্ত বিভিন্ন কারখানায় প্রায় ৬ হাজার কর্মী চাকরির সুযোগ পেয়েছে।