নিরাপত্তার অজুহাত কিংবা অন্য কোনো কারণে একবারও থমকে যায়নি বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীতের বৃহৎ উৎসবটি। সংগীতের এই উৎসবটি মানুষের মনে এতোটাই জায়গা করে নিয়েছে যে, প্রতি বছর প্রতীক্ষায় থাকেন অসংখ্য মানুষ। বাংলার সংগীত সমঝদার হাজারো মানুষ প্রতি নভেম্বরে আয়োজিত এই উৎসবকে ঘিরে প্রস্তুত হয়ে থাকেন। কিন্তু এবার হল তার ব্যতিক্রম! প্রতি বছর আর্মি স্টেডিয়ামে উৎসবটি হয়ে আসলেও এবার সরকারি অনুমতি না থাকায় শেষ পর্যন্ত বাতিলই ঘোষণা করা হল অনুষ্ঠানটি। তবে শুধু এবছরই নয়, আগামিতে বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীতের আসর দেশের মাটিতে আর বসবে কিনা সে বিষয়েও শঙ্কা প্রকাশ করছেন আয়োজকসহ সাধারণ শ্রোতারাও।
পোপের ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে বেঙ্গল শাস্ত্রীয় সঙ্গীত উৎসবের ষষ্ঠ আসর বাতিল হওয়ায় এ উৎসবের ভবিষ্যত নিয়েই শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী বলেছেন, গত পাঁচ বছরে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রতি বাংলাদেশের তরুণদের যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে তা যেন হারিয়ে না যায়।
মনকে শুদ্ধ করতে যুগ যুগ ধরে সঙ্গীতপ্রেমীরা আশ্রয় খুঁজেছেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে। বাংলাদেশের প্রতিভাবান তরুণ তরুণীরা বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিনামূল্যে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তালিম নিচ্ছেন। সম্প্রতি বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়েও সে চিত্রই চোখে পড়ল।
শুধু শিল্পী তৈরিই নয়, উপমহাদেশের প্রথম সারির পণ্ডিত এবং দেশীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের স্বাদ বৃহৎ পরিসরে বাংলাদেশ পেয়েছে এই বেঙ্গলের হাত ধরেই।
পাঁচ বছর ধরে প্রতি শীতে ঢাকার আর্মি স্টেডিয়াম কয়েকদিনের জন্য পরিণত হত শাস্ত্রীয় সঙ্গীতেরপ্রেমীদের মিলনমেলায়। এবারও বড় পরিসরে উৎসবের আয়োজনের পরিকল্পনা ছিলো বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের।
আয়োজনের একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে পোপের সফরের কারণে ভেন্যু বরাদ্দ না পাওয়ায় বাতিল হয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ষষ্ঠ আসর। তবে পোপের সফরের ৩ দিন আগে শেষ হওয়ার কথা ছিলো শাস্ত্রীয় সংগীত উৎসবের।
বেঙ্গল ফাউন্ডেশন মনে করে, দেশের মানুষের রুচি পরিবর্তনের কাজটা শুরু করতে পেরে তারা খুশি। আগামী বছর শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের এ আসর বসবে কিনা সে বিষয়েও তাদের আছে শঙ্কা।
২৩ থেকে ২৭ নভেম্বর ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে উৎসবের ষষ্ঠ আসর বসার কথা ছিলো। আর পোপ ফ্রান্সিসের ঢাকায় আসার কথা ৩০ নভেম্বর।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: