টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ২০১৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশের দুই উপ-পরিদর্শক ও দুই কনস্টেবলকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এছাড়াও আরো চারজনের ইনক্রিমেন্ট স্থগিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিভাগীয় মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এই চাকরিচ্যুতির আদেশ দেয়া হয়।
চাকরিচ্যুতরা হলেন ঘাটাইল থানার সাবেক উপ-পরিদশর্ক বর্তমানে টাঙ্গাইলের বাসাইল থানায় কর্মরত মনসুর আহমেদ ও কালিহাতী থানার উপ-পরিদর্শক বর্তমানে কিশোরগঞ্জ জেলায় কর্মরত সলেম উদ্দিন, বর্তমানে রাজবাড়ি জেলায় কর্মরত কনস্টেবল জিয়াউল হক ও আমিনুল ইসলাম।
এছাড়াও এসআই ওমর ফারুকের (বর্তমানে নাগরপুর থানায় কর্মরত) পাঁচ বছরের জন্য, এসআই আবুল বাশারকে (বর্তমানে নেত্রকোনা) তিন বছরের জন্য এবং কনস্টেবল মাহাতাব উদ্দিনকে (বর্তমানে টাঙ্গাইল কোর্টে কর্মরত) ও কনস্টেবল তমাল চন্দ্র দে’র ইনক্রিমেন্ট দুই বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মাহবুব আলম জানান, কালিহাতীতে পুলিশের গুলি বর্ষণের ঘটনায় বিভাগীয় মামলা হয়। পরে তদন্তে সে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চারজনকে চাকুরিচ্যুত এবং চারজনের বিরুদ্ধে ইনক্রিমেন্ট স্থগিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর কালিহাতী উপজেলার সাতুটিয়া গ্রামে রফিকুল ইসলাম রোমা ও তার ভগ্নিপতিসহ কয়েকজন ঘাটাইল থানার আলামিন ও তার মাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ১৮ সেপ্টেম্বর ঘাটাইলের হামিদপুর বাজারে ও কালিহাতী সদরে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল বের করে এলাকাবাসী। ওই মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে চারজন নিহত হন, গুলিবিদ্ধ হয় আরও সাতজন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন ঘাটাইল উপজেলার ফারুক হোসেন (৩২), কালিয়া গ্রামের শামীম (৩৫), কালিহাতী উপজেলা সদরের শ্যামল দাস (১৫) ও বেতডোমা গ্রামের রুবেল হোসেন (২০)।