চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

‘পুরান ঢাকার ঈদও অহন ডিজিটাল’

পুরান ঢাকার ঈদের সেকাল আর একালের মধ্যে অনেক পার্থক্য। চাঁদরাতে পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখার সময় চ্যানেল আই অনলাইন টিমকে এমনটাই জানিয়েছে আদি ঢাকাবাসী।

চকবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায় উৎসবমুখর পরিবেশে সবাই পাঞ্জাবি, জুতা কেনায় ব্যস্ত। ঈদের আগের রাত বলেই ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে ঈদের আমেজ আরও বেশি।

চকবাজারের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: সেকালে ঈদ উপলক্ষে কাগজের রং করা টুপি আর আতর মাখা তুলার কদর ছিল। তখন আমরা ঈদের মধ্যে হলে গিয়ে সিনেমা দেখতাম, চানরাতে পুরান ঢাকার প্রতি ঘরের হাতে বানানো সেমাই তৈরি করার ধুম পড়ে যেত।

নয়াবাজারের বাসিন্দা কেরামত হোসেন বলেন: আমরা ঈদ জামাত শেষ করেই আজিমপুরে কবরস্থান জিয়ারত করে বাসায় এসে সেমাই মিষ্টি খেতাম। সারা দিন ছোট ভাই বোন বন্ধু-বান্ধব মিলে ঘুরতাম, এটাই ছিল ঈদের আনন্দ।

‘এখন সবকিছু ডিজিটাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরান ঢাকার ঈদও অহন ডিজিটাল হইয়্যা গেছে। আমাগো ঈদ আর নেই, অহন বাচ্চা আর তরুণগো ঈদ।’

তিনি বলেন: পাড়ার মোড়ে মোড়ে তারা গানবাজনা করে, ডিজে পার্টি করে, কনসার্ট করে, আনন্দ মিছিল করে। এসব দেখতে ভালোই লাগে।

ঈদ আনন্দের প্রধান অনুসঙ্গ সালামি। এ প্রসঙ্গে বংশাল এলাকার প্রবীণ ব্যবসায়ী শামসু মিয়া চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: আমরা তো সালামি পেতাম দুই আনা চার আনা। এতেই খুব খুশী থাকতাম। নামাজ পড়ে খাওয়া দাওয়া করে মাকে সালাম করলে দুই চার আনা দিতো, অন্যান্য আত্মীয়রাও দিতো। সারাদিন ঘুরে জপ্পেস ঈদ উদযাপন করতাম।

সেকালের ঈদকে ঘিরে ধনী গরীবের একটা অন্যরকম বন্ধন ছিল বলেও জানান শামসু মিয়া।
তিনি বলেন, সেকালে ধনী গরীবের অভাব বোঝা যেত না। সবাই মিলে মিশে আনন্দ উল্লাসে ঈদ পালন করতাম।