চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

পার্সেলে শিশু আর কোকেন ট্রিটমেন্টসহ মারাত্মক যেসব চর্চা ছিল অতীতে

স্বাভাবিকের বাইরে কিছু দেখলেই খটকা লাগে। সেটা নিয়ে চলে আলোচনা-সমালোচনা। কিন্তু এখন যেটাকে অস্বাভাবিক কিংবা ভয়ানক মনে হয়, অতীতে তেমনই কিছু পদ্ধতির চর্চা খুব স্বাভাবিক ভাবেই প্রচলিত ছিল। সেই পদ্ধতিগুলো দেখলে যে কারও চোখ ছানাবড়া হয়ে যাবে। জেনে নিন তেমনই কিছু পদ্ধতি সম্পর্কে।

কোকেন ট্রিটমেন্ট
১০০ বছর আগে কোকেন ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। দাঁত ব্যথা কিংবা কাশির নিরাময়ের জন্য ওষুধের দোকানগুলোতে সহজলভ্য ছিল এই নেশা দ্রব্য। এমনকি শিশুদের ঘুম পাড়ানোর জন্যও ব্যবহার করা হতো মারাত্মক এই কোকেন। ওষুধের দোকান থেকে কোকেন সংগ্রহ করতে কোনো প্রেসক্রিপশনেরও প্রয়োজন হতো না। রীতিমত বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচারণা চালানো হতো কোকেনের।

শিশু পার্সেল
২০ শতাব্দীর শুরুর দিকে ডাকযোগে শিশুদেরকে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে পাঠানো হতো। মাত্র ১৫ সেন্টে শিশুদেরকে পার্সেল করা যেতো। কম খরচে আত্মীয়ের বাড়িতে সন্তানকে পাঠানোর জন্য খুবই জনপ্রিয় পদ্ধতি ছিল এটি। ১৯৩০ সালের দিকে আরও ভয়ানক একটি পদ্ধতি চালু হয়। মায়েরা যখন ঘরের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতো তখন শিশুদেরকে লোহার রডের তৈরি খাঁচায় আটকে রাখা হতো।

কম খরচে আত্মীয়ের বাড়িতে সন্তানকে পাঠানোর জন্য খুবই জনপ্রিয় পদ্ধতি ছিল এটি।

চিকিৎসার জন্য রক্তপাত
অতীতের চিকিৎসা পদ্ধতিও খুব অদ্ভুত ছিল। তাদের ধারণা ছিল, সব রোগের জন্য সবচাইতে ভালো চিকিৎসা হলো রক্ত ঝরানো। আর রক্ত ঝরাতে তারা রোগীর জিভ কাটতেন। এমনকি ইলেকট্রিক শকও দেয়া হতো। এমনকি সেই সময়ের সবচাইতে বড় চিকিৎকরাও অসুখ সারানোর জন্য প্রাণঘাতী সব পদ্ধতি অবলম্বন করতেন।

রেডিও-একটিভ খেলনা
১৯৫০ সালের সময়টাতে রেডিয়েশনকে নিরাপদ হিসেবেই ভাবা হতো। তাই ছোট শিশুদের হাতে তুলে দেয়া হতো অ্যাটমিক খেলনা যেগুলোতে আসল পোলনিয়াম এবং ইউরেনিয়াম থাকতো অল্প পরিমাণে।

মানুষের চিড়িয়াখানা
এশিয়া এবং আফ্রিকার মানুষদেরকে রাখা হতো চিড়িয়াখানায়।  ডারউইনের তত্ত্বের প্রমাণ হিসেবে তাদেরকে চিড়িয়াখানায় বন্দী করে রাখা হতো। টিকেট কেটে তাদের দেখতে আসতেন দর্শকরা। বহু বছর ধরে চলেছে অমানবিক এই প্রথা।

বিনোদনের জন্য মানসিক হাসপাতাল
মানসিক হাসপাতালের রোগীদেরকে খুব অল্প পরিমাণে খেতে দেয়া হতো। অনেক সময় খাবারই জুটত না তাদের কপালে। যদিও রোগীদের আত্মীয়রা থাকা-খাওয়া বাবদ সব খরচ পরিশোধ করতেন। শুধু তাই নয়, রোগীদেরকে নিয়ে ব্যবসা করতো হাসপাতালগুলো। দর্শনার্থীরা অর্থের বিনিময়ে রোগীদের দেখতে আসতেন এবং লাঠি দিয়ে খুঁচিয়ে আনন্দ পেতেন।

মানুষের হাড়গোড় সংগ্রহ
অনেকেরই শখ ছিল মানুষের হাড়-গোড় সংগ্রহ করার। বসার ঘরে সেগুলো সাজিয়েও রাখতেন অনেকেই। বিশেষ করে সৈন্যরা যাদেরকে পরাজিত করতেন তাদের মাথার খুলি কিংবা শরীরের অন্য কোন অঙ্গের হাড় সংগ্রহে রেখে দিতেন শখ করে।

গর্ভকালীন সময়ে ধূমপান
এখন চিকিৎসকরা গর্ভবতীদেরকে ধূমপান নিষিদ্ধ করে দেন। এমনকি পরোক্ষ ধূমপানও ক্ষতিকর বলা হয়ে থাকে। অথচ একটা সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে নিস্তার পেতে গর্ভবতীদেরকে ধূমপান করার পরামর্শ দেয়া হতো। এমনকি হাসপাতালেও ধূমপান নিষিদ্ধ ছিল না। গিগগ্যাগ