চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

পাঠ্যপুস্তকের মতোই বেহাল দশায় এনসিটিবির ওয়েবসাইট

পাঠ্যপুস্তকের ভুলভ্রান্তি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছেই। তবে, শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক তৈরির দায়িত্ব যাদের, সেই এনসিটিবির  ওয়েবসাইটেরই পুরো বেহাল দশা।

ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা গেছে, স্কুল শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক তৈরি, উন্নয়ন ও পরিমার্জন করে যে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি), তাদের ওয়েবসাইটে (www.nctb.gov.bd) নানা ভুল ভ্রান্তি আর অসঙ্গতির ছড়াছড়ি।

এনসিটিবির বাংলা সংস্করণে ‘ইতিহাসে’ ক্লিক করলে দেখা যায় ইংরেজি লেখা। এত দিনেও বাংলা করা হয়নি সেই অনুচ্ছেদটির। একই পরিস্থিতি দেখা যায়, এনসিটিবির কার্যাবলী বিষয়ে জানতে চাইলে। ওই বিভাগে ক্লিক করলেও ইংরেজি লেখা পাওয়া যায়।

এনসিটিবির ওয়েবসাইটে থাকা অনেকগুলো ক্যাটাগরির বেশিরভাগেই ক্লিক করলে পাওয়া যায় না কোনো তথ্য। বই বিতরণে ক্লিক করলে আসে ‘Your requested page could not be found’। এনসিটিবির লক্ষ ও উদ্দেশ্যে ক্লিক করলেও একই লেখা পাওয়া যায়।

সিটিজেন চার্টার ক্যাটাগরিতে ক্লিক করলে পাওয়া যায় না কোনো তথ্যই।

জনবল বিভাগে ক্লিক করলে কেবলমাত্র এনসিটিবির চেয়ারম্যানের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়। অন্য কর্মকর্তাদের তালিকাতেও নেই চেয়ারম্যান ছাড়া আর কারো নাম।

পাঠ্যপুস্তক ক্যাটাগরিতে থাকা সবগুলো সাব-ক্যাটাগরিতে ক্লিক করলে ভেসে আসে ‘Your requested page could not be found’ লেখাটি।

ওয়েবসাইটটির গবেষণা অংশেও নেই কোনো আপডেট। আইসিটি ক্যাটাগরিটির নাম ভুল করে লেখা হয়েছে ‘আইডিটি’। অর্গানোগ্রামে ক্লিক করলে আসে ‘The page is under-construction.’

নারায়নচন্দ্র সাহা, চেয়ারম্যান, এনসিটিবি

এছাড়া ওয়েবসাইটটির কিছু সাবক্যাটাগরিতে মোটেই ক্লিক করা যায় না। কিছু জায়গায় ক্লিক করলে একই পেজ বারবার আসতে থাকে।

তবে ওয়েবসাইটটির এই বেহাল দশা আর বেশিদিন থাকবে না বলে জানিয়েছেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান নারায়ন চন্দ্র সাহা।

চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, আসলে ওযেবসাইটটির এখনও ডেভেলপমেন্টের কাজ চলছে। তাই সেখানে তেমন কোনো আপডেট নেই।

‘নতুন করে ঢেলে সাজাচ্ছি যেন ক্লিক করলেই একসাথে সব তথ্য পাওয়া যায়।’

খুব শিগগিরই সব সমস্যার সমাধান করে ওয়েবসাইটটি পুরো ঢেলে সাজানো হবে বলেও জানান এনসিটিবি চেয়ারম্যান।