চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

পূত-অচ্ছুৎ ভাবনা ও পাকিস্তান বিষয়ক স্ববিরোধিতা

অন্য কয়েক মুসলিম দেশের মতো পৃথিবীর একমাত্র দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক কোন সম্পর্ক নেই, স্বাভাবিকভাবেই নেই বাণিজ্যিকসহ সকল ধরণের সম্পর্ক। বাংলাদেশের পাসপোর্টে গোটা গোটা অক্ষরে লিখা রয়েছে ALL COUNTRIES OF THE WORLD EXCEPT ISRAEL, মানে সকল দেশের জন্যে প্রযোজ্য হলেও বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ইসরায়েলে যেতে পারবে না, তারাও আসতে পারবে না; সম্পর্কটা এমন।

ইসরায়েলের সঙ্গে এবিরোধ যতটা না ফিলিস্তিনিদের প্রতি আমাদের সংহতি থেকে প্রকাশিত তারচেয়ে বেশি ধর্মীয় এক আবরণ থেকে প্রকাশিত, এখানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কোন স্বার্থ নেই; নেই বাংলাদেশ জন্মের সাথে সম্পর্কীয় কোনও যোগ। তবে বাংলাদেশের জন্মের সাথে যে রাষ্ট্রের তীব্র বিরোধ সেটা পাকিস্তান। সেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ মুক্তিসংগ্রামের ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি রক্তস্নাত স্বাধীনতা। এই বিজয় আনতে গিয়ে কেবল মুক্তিযুদ্ধের সময়েই বাংলাদেশের ত্রিশ লক্ষ লোক নিহত হয়েছেন, দুই লক্ষ নারী হয়েছে অপমানিত। এর সঙ্গে যদি দীর্ঘ মুক্তির সংগ্রামকে যোগ করা হয় তবে সে সংখ্যা আদতে অগণন। তবু ওই দেশের সঙ্গে আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক বিদ্যমান।

পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের সকল সরকারই সম্পর্ক বজায় রেখেছে। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেওয়া দল আওয়ামী লীগও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। তবে আওয়ামী লীগের চলমান শাসনামলে একাধিকবার পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের দাবি ওঠেছিল, কিন্তু সরকার সে দাবিকে পাত্তা দেয়নি। চলমান সম্পর্ককে অব্যাহত রেখেছে। ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’ এ আপ্তবাক্যের মধ্যে পাকিস্তানসহ সকলেই পড়েছে, ব্যতিক্রম কেবল ইসরায়েল। এ ব্যতিক্রম ব্যতিক্রমই থেকে যাবে কারণ এর পেছনে আছে ধর্মযোগ, একইভাবে পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কটাও থাকবে কারণ ওখানেও অনুচ্চারিত ধর্মের ব্যাপারস্যাপার জড়িত।

সম্প্রতি, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সেখানকার প্রধানমন্ত্রী মিঞা মুহাম্মদ নওয়াজ শরিফ ‘অযোগ্য’ ঘোষিত হওয়ার পরপরই পদত্যাগ করেছেন। উপমহাদেশীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তানের রাজনীতির নিয়ন্ত্রক সেখানকার সেনাবাহিনী; আর সেনাবাহিনীর ইঙ্গিতেই সেখানে প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা হারিয়েছেন। আমি আন্তর্জাতিক রাজনীতির তুমুল মনোযোগী ছাত্র নই বলে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণে সে বিষয়ে কিছু বলতে পারব না, তবে যা কিছু দৃশ্যমান তার মধ্যে আছে অযোগ্য ঘোষণার দৃশ্যমান প্রেক্ষাপট ছিল পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের জড়িয়ে যাওয়া, দোষী সাব্যস্ত হয়ে যাওয়ার ফলে পদত্যাগ করা। এবারে যদি অনুমিত সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কার্যকর হতো তাহলে পারভেজ মোশাররফদের মতো কেউ ক্ষমতা দখল করত। কিন্তু এবার সেটা হয় নি। নওয়াজ শরিফের পদত্যাগের পর অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন শহিদ খাকান আব্বাসী নামের তার দলেরই একজন; ক্ষমতায় আগের মতোই আছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন)।

অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের প্রধানমন্ত্রিত্ব শেষে হয়ত দায়িত্বে আসছেন নওয়াজ শরিফের স্ত্রী বেগম কুলসুম নওয়াজ, কারণ স্বামীর পদত্যাগে শূন্য হওয়া লাহোর-৩ আসনে তিনি ইতোমধ্যেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ওই নির্বাচন হবে আগামি ১৭ সেপ্টেম্বর। নির্বাচনে কুলসুম নওয়াজ জিততে পারলে তিনিই হয়ত হতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। তাহলে কোর্টের এই রায় সরকার পরিবর্তনের জন্যে এমন বিশ্লেষণ হালে পানি পাচ্ছে না!

নওয়াজ শরিফের প্রসঙ্গ আনার কারণ আদতে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরবর্তী ঘটনার বর্ণনা, যা হঠাৎ করেই বাংলাদেশে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে গেছে। এবং এ আলোচনার শুরু হয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার কয়েকটা শব্দ উচ্চারণের পর থেকেই। এ নিয়ে সরকারের মন্ত্রীরা নাখোশ হয়েছেন; খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

সোমবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে আয়োজিত এক সভায় প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবকিছু সহ্য করা যায়। কিন্তু পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা আমরা সহ্য করব না। পাকিস্তানের (সুপ্রিম কোর্টের) দেওয়া রায়ের কথা বলে কেউ আমাকে হুমকি দিয়েছেন… আমি তার জন্য জনগণের কাছে বিচার চাই। কেন পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করা হলো? আমাকে এসব হুমকি দিয়ে কোনও কাজ হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া, জিয়া ও এরশাদকে দেখেছি। তাই আমি জনগণের কাছে বিচার চাই, যে পাকিস্তানকে আমরা ১৯৭১ সালে পরাজিত করেছি এবং যেটি একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র, সেটির সঙ্গে কেন তুলনা করা হলো?’

প্রধান বিচারপতির রোববারের (২০ আগস্ট) বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আদালতে প্রধান বিচারপতি ওই দিন অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে এক পর্যায়ে বলেছিলেন, ‘পাকিস্তানের আদালতে তো অনেক কিছুই হয়ে গেল, সেখানে ঝড় ওঠেনি। আপনারা মিডিয়ায় অনেক কথা বলবেন, এটা ঠিক নয়। আপনারা ঝড় উঠাচ্ছেন; আমরা বিচার বিভাগ ধৈর্য ধরছি। যথেষ্ট ধৈর্য ধরছি।’

এবার দেখা যাক, কোন প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি পাকিস্তানের প্রসঙ্গ এনেছিলেন। আমরা ধৈর্য ধরছি- এ বক্তব্যটা এসেছে যখন অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছিলেন চারদিকে আনস্টেবল সিচুয়েশন, এবং তিনি বিব্রত। তখন প্রধান বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেলকে বললেন, আপনারা ঝড় উঠাচ্ছেন, আমরা কি কিছু বলেছি? অ্যাটর্নি জেনারেল জানালেন- না কিছু বলেননি। তখন প্রধান বিচারপতি তাদের ধৈর্য ধারণের কথা জানিয়েছিলেন। কথোপকথনের এই ধারাবাহিকতা দেখলে এটাকে খুব স্বাভাবিক হিসেবেই দেখা সম্ভব। এ বক্তব্য এসেছে অধস্তন বিচারকদের চাকুরির শৃঙ্খলাবিধি প্রণয়নে আইন মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রস্তাবের পর আদালত সেটা গ্রহণ না করে আলোচনার কথা বলেছিলেন, একাধিকবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও এ নিয়ে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে। এর বাইরে প্রধান বিচারপতি সরকারি দলের আক্রমণের বিষয়বস্তু হয়ে আছেন ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর থেকে। রাষ্ট্রপক্ষে আইনি এ পরাজয়কে সরকার রাজনৈতিক পরাজয় হিসেবে গ্রহণ করে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর বাক-আক্রমণ করছিল।

প্রধান বিচারপতির ধৈর্য ধারণের বিষয়টিকে আওয়ামী লীগ অন্যভাবে টুইস্ট করেছে। তারা একে নওয়াজের পরিণতি হিসেবেই প্রচার করেছে, এবং খোদ প্রধানমন্ত্রীও অন্যের কাছ থেকে জেনে একই ধরণের মন্তব্য করেছেন বলেই মনে হয়েছে। অথচ এ ধৈর্য ধারণের বিষয়টিকে বাস্তবতাকে অনুধাবন ও অতীত ইতিহাসের দিকে তাকালেও স্পষ্ট হওয়া যেত। এ প্রসঙ্গে স্মরণ করা যেতে পারে, গত বছরের ৫ ও ৭ মার্চ খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে বিচারপতিদের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে আদালত দ্বারা ৫০ হাজার টাকার জরিমানা ও অনাদায়ে ৭ দিনের কারাদণ্ড পেয়েছিলেন। দুই মন্ত্রী ক্ষমাও চেয়েছিলেন ওই সময় মন্তব্যের জন্যে। এবারও তারা আগের চাইতে বেশি আক্রমণাত্মক বক্তব্য রেখেছেন, পদত্যাগ চেয়েছেন, শপথ ভঙ্গের অভিযোগ এনেছেন। মন্ত্রী আমির হোসেন আমু আরও কঠিন শব্দ উচ্চারণে রীতিমত অশিষ্ট সম্বোধনে ‘তুমি’ উচ্চারণে ‘ছিঁচকে উকিল’ বলেও কটূক্তি করেছিলেন। এ ধরনের বক্তব্যসহ আরও অনেকের অবমাননাসূচক বক্তব্যের পরও আদালত এ নিয়ে কোন শাস্তিমূলক পদক্ষেপে যান নি- এটা কী চূড়ান্ত ধৈর্য নয়? তাছাড়া, মন্ত্রীরা সাংবিধানিক পদক্রম অনুসারে প্রধান বিচারপতির নিচে, তবু তারা এসব করেই যাচ্ছেন। এতে আরও বাজে হতে যাচ্ছে পরিস্থিতি।

প্রধান বিচারপতি আদালতে পাকিস্তান নাম উচ্চারণ করেই এত আক্রমণের শিকার হয়েছেন, কিন্তু যারা আক্রমণ করছেন তারা কি পাকিস্তানের প্রতি এতখানি বিরূপ মনোভাব পোষণ করেন? এ প্রশ্নের উত্তর খুব সহজ- “না”। স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়ানো যে ৬৯ জন বিদেশি বন্ধুকে ২০১৩ সালের মার্চ মাসে আওয়ামী লীগ সরকার ‘ফরেন ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’ নামের সম্মাননা দিয়েছিল, তাদের মধ্যে ১৩ জন পাকিস্তানিকে রেখেছিল তারা। ২০১১ সাল থেকে ‘ফরেন ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান শুরু হয়।

বলছি না সম্মাননা দিয়ে সরকার অপরাধ করেছে; এ নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যই ছিল না, কিন্তু সরকারপ্রধান নিজেই যখন পাকিস্তানের প্রতি এতখানি বিরূপ বলে নিজেকে প্রমাণে মরিয়া তখন পাকিস্তানিদের প্রসঙ্গ আসাটাই স্বাভাবিক। পাকিস্তান শব্দ ও পাকিস্তান রাষ্ট্র যদি তাদের কাছে এতখানি ব্রাত্যই হতো তাহলে পাকিস্তানিরা এমন সম্মাননা পায় কীভাবে? নাকি ব্রাত্যের বিষয়টি কেবল অন্যদের জন্যে প্রযোজ্য, নিজেদের জন্যে নয় মোটেও! প্রশ্ন ওঠাইতো স্বাভাবিক।

ওই সময়ে পাকিস্তানি যাদেরকে সম্মাননা দিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার তাদের মধ্যে আছেন- বেগম নাসিম আখতার (পাকিস্তানের ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য); বেগম তাহিরা মাজহার আলী (লাহোরে মল রোডে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়ে গ্রেপ্তার); আহমদ সালিম (কবি); ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ (কবি ও সাংবাদিক); ওয়ারিস মির (সাংবাদিক); আনোয়ার পীরজাদো (পাকিস্তান বিমানবাহিনীর পাইলট); হাবিব জালিব (কবি ও ন্যাপ নেতা); একবাল আহমেদ (পাকিস্তানি দার্শনিক); মীর গাউস বকস বিজেঞ্জো (ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক); মালিক গোলাম জিলানী (পশ্চিম পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মানবাধিকার নেত্রি আসমা জাহাঙ্গীরের বাবা); কাজী ফয়েজ মোহাম্মদ (নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও বঙ্গবন্ধুর সহযোগী); শামিম আশরাফ মালিক; জাফর মালিক (আইনজীবী)।

সম্মাননাপ্রাপ্তদের সকলেই মৃত হওয়ায় তাদের পক্ষে তাদের উত্তরাধিকাররা সম্মাননা গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ওয়ারিস মিরের পুত্র হামিদ মির এ বছরের ২৭ এপ্রিল পাকিস্তানের একটি টেলিভিশনে এক টকশোতে অংশ নিয়ে সম্মাননা ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেও সেটা ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে কোন খবর প্রকাশ হয় নি।

এখানে সম্মাননার প্রসঙ্গ অপ্রাসঙ্গিক হতে পারত কিন্তু সেটা হয় নি কারণ এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই যে পাকিস্তান নাম উচ্চারণকে অপরাধ হিসেবে জ্ঞান করছেন, তিনিই আবার পাকিস্তানিদের বিরল সম্মানে ভূষিত করেছেন। এ ধরণের সম্মাননা দেওয়াতে আপত্তির কিছু দেখছি না, কিন্তু আপত্তির জায়গাটা হলো প্রধানমন্ত্রীর হুট করে এমন অবস্থান পরিবর্তন। অন্যের ক্ষেত্রে বিশেষ করে প্রধান বিচারপতি পাকিস্তান শব্দ উচ্চারণকে তারা এখন অমার্জনীয় এক অপরাধ হিসেবেই দেখছেন, অথচ এটাকে স্বাভাবিক এক রীতি হিসেবেও দেখা সম্ভব ছিল।

পৃথিবীর দেশে দেশে আইন, আদালত, রায়, পর্যবেক্ষণে এক দেশ অন্য দেশের অনেক কিছুকে আলোচনায় আনে। এটাই দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে; প্রধান বিচারপতি এ রীতিকে অনুসরণ করে প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় যে শব্দ -বাক্য উচ্চারণ করেছেন সেটা নিশ্চয়ই অপরাধতূল্য হতে পারে না। তাছাড়া যারা এটাকে অপরাধ ভাবছেন তারা অন্তত নিজেদের দিকেও খানিকটা তাকানোর দরকার ছিল!

পাকিস্তান অচ্ছুৎ, পাকিস্তান পূত- এক মুখে দুই কথা; এ যে স্ববিরোধিতা!

(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে)