পরচুলা তৈরির কাজ করে সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতা এনেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের ভালুকাই গ্রামের একশ’র বেশী নারী। পাল্টে যাচ্ছে গ্রামের আর্থসামাজিক অবস্থা।
টঙ্গীর এক পরচুলা তৈরির কারখানায় কাজ শিখে ১০ বছর আগে গ্রামে ফিরে নিজেই উদ্যোক্তা হয়ে ওঠেন কনিকা বেগম। নিজের গ্রামেই গড়ে তোলেন পরচুলা তৈরির কারখানা। সেখানে শ্রমিক হিসেবে যুক্ত করেন এলাকার দরিদ্র নারীদের।
তিনবছর ধরে কাজ করা খাদিজা বলেন, পরচুলা তৈরি করে প্রতিমাসে দুই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা পেয়ে থাকি। অার এই টাকা দিয়েই ছেলে-মেয়ের পড়াশুনা ও সংসারে খরচ করি।
এই পরচুলা তৈরির কারখানাতে অনেক শিক্ষার্থীরাও কাজ করে তাদের পড়াশুনার খরচ চালানোর জন্য।
সংসারের কাজের ফাঁকে গ্রামের মহিলারা বাড়তি আয়ের জন্যে কাজ করেন এই কারখানায়। বসে থাকে না এই গ্রামের স্কুল-কলেজের পড়ুয়া মেয়েরাও। এখানে কাজ করে আর্থিক সাহায্য করছে বাবা মাকে। বিউটি পার্লার থেকে চুল সংগ্রহ করে তৈরি হচ্ছে এই পরচুলা বা চুলের টুপি।
চুল তৈরির কারখানার উদ্যোক্তা কনিকা বেগম বলেন, প্রায় দশ বছর ধরে এই কাজটি করছি। গ্রামের বাড়িতে চলে আসার পর নিজের সঙ্গে গ্রামের বেকার নারীদের নিয়ে পরচুলা তৈরির কাজটি শুরু করলাম। এখন আমার সঙ্গে তারা স্বচ্ছলভাবে সংসার করছে।
এই গ্রামে তৈরি পরচুলা যাচ্ছে বিভিন্ন দেশেও। বাইরে এর চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। ঠাঁকুরগাঁওয়ের প্রত্যন্ত গ্রামের এই উদ্যোগ অনুকরনীয় হতে পারে অন্য এলাকার জন্য, মনে করেন স্থানীয়রা।