পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র থাকার ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের কোনো প্রমাণ পাননি কানাডার আদালত। সেতু প্রকল্পের কাজ তদারকি বিষয়ে পাঁচ কোটি ডলারের কাজ পাওয়ার উদ্দেশ্যে এসএনসি-লাভালিনের কর্মীরা ২০১০ ও ২০১১ সালে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন – এমন অভিযোগ তুলেই ঋণ বাতিল করেছিল বিশ্বব্যাংক।
এ প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন প্রেস উইংয়ের বরাতে প্রতিক্রিয়ার বক্তব্যটি ফেসবুকে শেয়ার করেন।
প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে, ‘পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের কোনো প্রমাণ মেলেনি। তাই কানাডার আদালতে পদ্মাসেতু মামলা বাতিল হয়ে গেছে। কোর্ট বলেছে, গাল গল্প ও গুজবের উপর ভিত্তি করে এই মামলা হয়েছিল।
এ মামলার বিবাদী সাবেক সিএনএস কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দিয়েছেন কানাডায় অন্টারিওর আদালত।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক ঋণ বাতিল করেছিল। এই ষড়যন্ত্রের তথ্যপ্রমাণ হিসেবে ফোনে আড়ি পেতে ধারণ করা যেসব তথ্য আদালতে উপস্থাপন করতে আবেদন করা হয়, তা নিছক গুজব আর গুঞ্জন বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন আদালত।’
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে এই মামলার তিন আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। এরা হলেন, এসএনসি-লাভালিনের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কেভিন ওয়ালেস, প্রতিষ্ঠানটির আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিভাগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ শাহ ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডীয় ব্যবসায়ী জুলফিকার আলী ভূঁইয়া।