রউফ জালাল, বগুড়া: জন্ম থেকে দুটি পা অকেজো থাকার কারণে পায়ে ভর করে হাটতে পারে না মেয়েটি। ডান হাতেও নেই কোন শক্তি। তবুও অদম্য চেষ্টা। বাম হাতে ভর করেই তার চলাফেরা। এবার এসএসসি পরীক্ষা দিতে বাবা কোলে চড়ে এসেছিল। কিন্তু নাইছ খাতুন হাসিকে পঙ্গুত্ব দমাতে পারেনি। ফলাফলে দেখো গেল পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৬৭ পেয়ে উন্নীত হয়েছে সে।
জানা যায়, নাইছ খাতুন হাসি বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের বিশ্বহরিগাছা বহালগাছা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। সে ওই ইউনিয়নের বহালগাছা গ্রামের দরিদ্র কৃষক নজরুল ইসলামের মেয়ে।
বাবা-মায়ের কোলে চড়ে এভাবে ২০১৪ সালের জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েও সে জিপিএ ৩.৬৭ পেয়েছিল।
নাইছ এসএসসি পরীক্ষায় বাড়ী থেকে ৭ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বাবার কোলে চড়ে ধুনট এনইউ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দেয়। প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম গ্রহন করলেও জন্মের পরই হাসি ভরা মুখ দেখে তার বাবা মা নাম রেখেছিল হাসি। তাই এবার প্রতিবন্ধকতাকে হাসি মুখেই জয় করেছে সে।
প্রতিবন্ধী নাইছ খাতুন হাসি চ্যানেল আই অনলাইনকে জানায়: ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়। তাই ইচ্ছা শক্তি ও মনোবল নিয়েই শিক্ষা জীবন শুরু করেছি।
বিশ্বহরিগাছা বহালগাছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেজাব উদ্দিন বলেন, নাইছ খাতুন হাসির বাবা মা তাকে কোলে করে ক্লাসে নিয়ে এসে বেঞ্চে বসিয়ে যেতেন। প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকে কিছু সুযোগ সুবিধা দেয়া হতো।
একটু সহযোগিতা পেলে নাইছ খাতুন হাসি ভবিষ্যতে অনেক ভাল ফল অর্জন করতে পারবে বলে মনে করেন তিনি।