দুদিন আগে বলছিলেন, ‘নেইমারের সঙ্গে আমার বন্ধুত্বের দরকার নেই।’ সেই কাভানি রোববার রাতে নেইমারের লাল কার্ড পাওয়ার সময় বন্ধুর মতোই আচরণ করলেন!
অবিশ্বাস্য এই ঘটনা ঘটেছে মার্সেইয়ের বিপক্ষে। ২-২ গোলে ‘ড্র’ করার ম্যাচে। ফাউলের বাঁশি বাজার পরও ৮৭তম মিনিটে লুকাস ওকামপোস নেইমারকে ফেলে দেন। মাটি থেকে উঠে লুকাসকে ধাক্কা মারেন নেইমার। দুই মিটার দূরে ছিলেন রেফারি। দুজনকে হলুদকার্ড দেখান। দুই মিনিট আগে আরেকটি হলুদ কার্ড দেখেছিলেন ব্রাজিল তারকা। যার কারণে দ্বিতীয়টি লাল কার্ডে পরিণত হয়।
নেইমার পড়ে যাওয়ার সময় কাছে ছিলেন কাভানি। যার সঙ্গে সম্পর্কটা এতটুকু ভালো নয়। পেনাল্টি আর ফ্রি-কিক নেয়াকে কেন্দ্র করে দুজন এখনো ড্রেসিংরুমে কথা বলেন না।
মাঠের বাইরের এমন সম্পর্ক দূরে ঠেলে ‘পেশাদার’ কাভানি এগিয়ে আসেন। রেফারিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন। এ সময় জর্ডান আমাভির সঙ্গে তারও লেগে যায়। হাত দিয়ে ধাক্কা মারেন।
লালকার্ড দেখানোর সময় মুচকি হাসছিলেন নেইমার। একটু দূরে বল কোলে দাঁড়িয়ে ছিলেন কাভানি। সময় চলে যাচ্ছে দেখে ফ্রি-কিক নিতে উশখুশ করেন। নেইমার হাসতে থাকলেও কাভানি তার ‘কষ্ট’ অনুভব করেন। কাছে এসে শরীরে হাত দিয়ে কিছু একটা বলে সান্ত্বনা দেন। নেইমার অবশ্য সেদিকে দৃষ্টি ফেরাননি।
নেইমার উঠে যাওয়ার পর অতিরিক্ত সময়ের খেলায় কাভানি দ্বিতীয় গোল করে দলকে হারের হাত থেকে রক্ষা করেন।
লাল কার্ড কাণ্ডে নেইমার সতীর্থদের পাশে পাচ্ছেন। ম্যাচ শেষে ভেরাত্তি বলেছেন, ‘নেইমার তো কিছুই করেনি। ওর জায়গায় আমি হলে অনেক আগেই মেজাজ হারাতাম। ’
ভেরাত্তির দাবি, ‘আমি খুব কাছে ছিলাম। লুকাসকে সে ওইভাবে টাচও করেনি। অথচ রেফারি দ্বিতীয় হলুদ কার্ড বের করলেন!’
ভেরাত্তি এমন বলতেই পারেন। কিন্তু কাভানি? বিস্ময় ‘বিস্ময়’ থাকে না দুদিন আগে তার বলা কথা শুনলে, ‘দল হিসেবে আমাদের আরও লড়াকু হতে হবে। কিন্তু তার জন্য বন্ধু হওয়ার দরকার নেই। পেশাদার হলে চলবে।’
কাভানিকে পেশাদার না বলে উপায় আছে?