চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ইসির সংলাপ: নির্বাচনী সরকারে নজর বিএনপির, সংলাপে বসবে আওয়ামী লীগ

নির্বাচনী সরকারের ফয়সালা না হলে নির্বাচন কমিশনের সংলাপ ব্যর্থ হবে বলে মনে করছে বিএনপি। সব দল চাইলে ইসির সংলাপের পর রাজনৈতিক সংলাপেও বসতে রাজি আছে আওয়ামী লীগ।

নির্বাচনে সরাসরি সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি বিএনপির। আওয়ামী লীগ বলেছে, রাজনৈতিক ঐক্যমত হলে নির্বাচনী দায়িত্বে সেনাবাহিনীকে ফেরাতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না আওয়ামী লীগ।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে নিজেদের দায়িত্ব এবং আস্থা অর্জনের সেতু হিসেবে রোডম্যাপকে সামনে রেখে সংলাপ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। তারই অংশ হিসেবে প্রথম দফায় ৩১ জুলাই সংলাপ হয়েছে নাগরিক সমাজের সঙ্গে। সংলাপে সুশীল সমাজ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পরামর্শ দিয়েছে। এ বিষয়ে চ্যানেল আইয়ের কাছে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। তবে, নির্বাচন নিয়ে শুধু ইসির সংলাপে ভরসা রাখতে পারছে না বিএনপি।

প্রধান দুই দলই বলেছে, সূষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তত তারা।

স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনী আগেও নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়েছে। এটা নতুন কোন প্রস্তাব নয়। নির্বাচনের শুরু থেকে নতুন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করার আগ পর্যন্ত সেনাবাহিনী মাঠে থাকলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। আওয়ামী লীগকেই এটি সমর্থন করা উচিত। তারা এটি নিয়ে সন্দেহ করছে যে নির্বাচনে যদি তারা পাশ করতে না পারে, তাহলে তাদের কর্মীদের অবস্থা খারাপ হবে, পিঠের চামড়া থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, যদি সরকার সংলাপ না করে, তারা যদি জোর করে, গোয়ার্তুমি করে এখনকার মতো আবারও ক্ষমতায় আসতে চায়, তহালে যে বিষয়টি জরুরি নির্বাচনকালীন সরকার, এ বিষয়ে আলোচনার আর সুযোগ থাকবে না। আর এটিই যদি না থাকে, তাহলে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগের কোন ফলাফল আসবে বলে আমি মনে করি না। এটি সরকারের উপর চাপ হওয়ার কথা।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, ২০১১তে যেহেতু এটি বাদ পড়ে গেছে। এখন আমাদের বাধ্যতামূলক কিছুই নাই। এখন নির্বাচন কমিশন যদি পুনরায় চালু করতে চায়, যদি সব স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া যায় তাহলে তা হবে খুবই ইতিবাচক কাজ হবে।

তিনি আরও বলেন, বিরোধী দল সব সময় চেষ্টা করে সব সময় ক্ষমতাসীন দলকে চাপে রাখতে। সেই রাজনৈতিকভাবে আত্মবিশ্বাস তৈরির জন্য আমাদের আওয়ামী লীগের সঙ্গে বা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার পরে যদি তারা মনে করে যে রাজনৈতিকভাবেও এই আলোচনা প্রয়োজন, আমার মনে হয় যে এটা সম্ভব, অসম্ভব না।

বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: