চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

‘নিজেদের নিয়ে গর্ব করতেই পারে বাংলাদেশ’

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ৯ উইকেটের বিশাল জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ভারত। তবে এমন হারের পরও টাইগারদের মাথা উঁচু করে চলতে বলেছেন কুমার সাঙ্গাকারা। আইসিসির ওয়েবসাইটে লেখা কলামে শ্রীলঙ্কান সাবেক এই ব্যাটিং মায়েস্ত্রো লিখেছেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যে পারফরমেন্স দেখিয়েছে বাংলাদেশ, সেটি নিয়ে গর্ব করতেই পারে মাশরাফি বাহিনী।

এজবাস্টনে পরে ব্যাট করে বাংলাদেশের দেয়া ২৬৪ রানের লক্ষ্য ৫৯ বল হাতে রেখে সহজেই টপকে যায় কোহলির দল। ব্যাটিংয়ে কিছুটা আশা জাগালেও বোলিংয়ে নির্বিষ ছিলেন মোস্তাফিজ-তাসকিনরা। তাতে প্রথমবারের মত আইসিসির কোন টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলার স্বপ্ন থেমে যায় লাল-সবুজদের।

কিন্তু এমন হারের পরও বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মাথা উঁচু রাখতে বলছেন সাঙ্গাকারা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাওয়া আত্মবিশ্বাস কাজে লাগাতে বলেছেন আগস্টে দেশের মাটিতে বসতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে, ‘সেমির ম্যাচটাতে হয়ত বাংলাদেশ সমস্ত ডিপার্টমেন্টে মার খেয়েছে, এরপরও ঢাকায় হতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে তাদের শির উন্নতই থাকবে।’

গত দুবছরে আইসিসির বড় দুটি আসরের নকআউট পর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। টাইগারদের এমন উন্নতির পেছনে কোচ হাথুরুসিংহের অবদান বড় করে দেখছেন সাঙ্গা। সঙ্গে সাকিব আল হাসানের মত সিনিয়রদের সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেয়া এবং খেলোয়াড় বান্ধব ক্রিকেট বোর্ডের অবদানও সমানভাবে দেখছেন লঙ্কান কিংবদন্তি।

পুরো আসর জুড়ে ব্যর্থ বাংলাদেশের বোলাররা। ৪ ম্যাচে আউট করতে পেরেছেন প্রতিপক্ষের মাত্র ১১ জন ব্যাটসম্যানকে। কিন্তু এতে না ঘাবড়ে বরং ২০১৯ বিশ্বকাপের দিকে চোখ রাখতে টাইগারদের পরামর্শ দিয়েছেন সাঙ্গা, ‘বাংলাদেশ যা করেছে, তা নিয়ে গর্ব করতেই পারে। কিন্তু বিশ্বকাপ খেলতে আবার ইংল্যান্ডে ফেরার আগে বোলিংয়ে বৈচিত্র্যটা আনা বিশেষ জরুরি। লম্বা সময়ের দল গড়ার জন্য তাদের প্রতিভার অভাব নেই। এমন একটা দল গড়তে পারলে তা ঘরে-বাইরে দারুণ কিছু উপহার দিতে পারবে।’

বৃষ্টির কল্যাণে অজিদের বিপক্ষে পাওয়া এক পয়েন্টের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য জয়। এই বাংলাদেশ সাঙ্গাকারাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ী শ্রীলঙ্কার কথা, ‘এই দলটা বেশ শক্তিশালী এবং উচ্ছল। বৃষ্টির কল্যাণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বেঁচে যাওয়া এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাহসী জয়টা আমাকে ১৯৯৬ সালের শ্রীলঙ্কার দলটার কথা মনে করিয়ে দেয়।’